দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে
অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি , রাজধানী দিল্লিতে প্রচন্ড বায়ু দূষণ,অপরদিকে দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই অন্ধ্র প্রদেশ সাংঘাতিক বৃষ্টি বন্যার ফলে বিপযস্ত, স্বাভাবিক জীবন থেমে গেছে।।অন্ধ্রপ্রদেশ এ বন্যার তান্ডব এ বাস ভেসে গেছে।30 জন ডুবে গেছে। দিল্লিতে শিশুরা বাতাসে কার্বন বিষের মাত্রা বেশি থাকায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।দিল্লির বাবুরা দিপাবলিতে লাগাম ছাড়া বাজি পোড়াল, দোষ দেওয়া হচ্ছে হরিয়ানা পঞ্জাবের কৃষক রা কৃষি ফসল পোড়ানোর ফলে সব ধুয়ো নীল আকাশ কার্বনে ঢেকে দিয়েছে। দিল্লিতে দূষণ ছড়াচ্ছে।দিল্লি বাসী নিয়ম নীতি না মানে লাখ লাখ গাড়ি মোটর বাইক চালায় সেখান থেকে কার্বন বিষ ,যমুনা গঙ্গা সহ সব নদী কল কারখানা দূষণ ছড়াচ্ছে।পবিত্র নদী গঙ্গা দূষিত, দিল্লির গর্ব যমুনা আজ বিষাক্ত নদীতে পরিণত। সরকারের হাজার আশ্বাস সত্বেও সভ্যতার অভিশাপ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। দেশের নদী নালা ফুটপাথ সব ঢেকে দিয়েছে প্লাস্টিক যাকে সহজে পোড়ানো যায় না। সরকারের প্লাস্টিক মুক্ত ভারত দূষণ মুক্ত ভারত শুধুই স্লোগান।সরকারের নির্দেশ আমজনতা মানেনা।আর্ন্তজাতিক পরিবেশ সম্মেলন হল।দেশের জলা জঙ্গল ,কয়লা খনি অঞ্চলের বন জঙ্গল পরিবেশ সব ধ্বংসের পথে দ্রুত এগোচ্ছে। বেআইনি ভাবে কয়লা উত্তোলন, তেল গ্যাস উত্তলন বন্ধ হয় নি।দেশের বিপন্ন পশু পাখি নিধন চলছে।আকাশ বাতাস, মাটি ,ভূগর্ভের জল শেষ, সব ক্ষেত্রে লোভি মানুষের হাত পড়ে গেছে। তা নিয়ন্ত্রণ করার সরকার নেই।সরকারের নির্দেশ মান হুশ সম্পন্ন মানুষ মানেনা । নিয়ম মেনে ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে না। শরৎ কালে পুজোর গন্ধ উবে গেছে। এবার শুধুই নিম্ন চাপ আর বৃষ্টির তাণ্ডব দেখলো। মেঘ মুক্ত নীলাকাশ , শুধুই স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে। বন ,জঙ্গল ,পশু পাখি , নদ নদী, পাহাড়, আকাশ সব মানুষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ,প্রকৃতির ধর্য্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।এবার প্রতিশোধের পালা। দুবছর ধরে করোনা সংক্রমণ সব প্রায় শেষ করে দিয়েছে।লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে, অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে গেছে।প্রকৃতির প্রতিশোধ ছাড়া কিছুই নয়।খরা ,বৃষ্টি,দাবানল ,বন্যা,প্রচন্ড ঠান্ডা, প্রচন্ড গরম সাগরের তলদেশে তাপমাত্রা বাড়ছে উপরে হিমবাহ গলছে,। পরিবেশ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ধেয়ে আসছে আর আত্ম কেন্দ্রিক , লোভি মানুষ বিলাস বৈভবে জীবন কাটাচ্ছে। দেশের প্রতি দশের প্রতি কোনো দায়িত্ব পালন করছে না ।
কোন মন্তব্য নেই