Header Ads

প্রদীপ দত্ত রায় কে গ্রেফতার , পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে,"আমরা বাঙালি "সতর্ক করলো দিসপুরকে



  সংবাদদাতা শিলচর :যারা আইনের রক্ষক।যারা সংবিধানের নামে সপথ নিয়ে সরকারের দায়িত্ব নেন। তারা যদি বারে বারে আইন উলঙ্গন করেন। আর তার বিরুদ্ধে যদি প্রতিবাদ হয়। তখন কাউকে সরকারী ক্ষমতাবলে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করে ,গ্রেপ্তার করে জেলে ঢুকিয়ে রাখা হয়। তখন সেই সরকারকে স্বৈরাচারী না বলে কি বলবো? আমরা বাঙালি র প্রধান সচিব সাধন পুরকায়স্থ আজ এই প্রশ্ন তুলে বলেন রাজ্যে   কোনো আইন নেই। তিনি বলেন

গতকাল বরাক ডেমোক্রেটিক দলের নেতা গুয়াহাটি হাইকোর্টের আইনজীবী   প্রদীপ দত্ত রায়কে গ্রেপ্তার করে সরকার ইহাই প্রমাণ করল যে এই রাজ্য কোনো আইনের শাসন নেই। 
অসম সরকারের ভাষা আইনের ৫ নং ধারায় যেখানে অসমের বরাক উপত্যকার তিন জেলার সরকারী ভাষা বাংলা। সকল কাজকরম বাংলায় হওয়ার কথা। সেখানে অসমীয়া ভাষায় সরকারী বিজ্ঞাপনের হোডিং লাগানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে অসমিয়া বাঙালির মধ্যে সংঘাত তৈরি করা।  
এই ভাষা আইন লঙ্ঘনের বিরোধিতা করে বাংলায় হোডিং লাগানোর দাবি জানানো টা কি অপরাধ! এই দাবী জানানো কে এক শ্রেণীর মিডিয়া অসমীয়া জাতীয়তাবাদীদের উদ্ধৃতি দিয়ে অসমীয়া ভাষায় অপমান হয়েছে বলে প্রচার চালিয়ে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বাঙালিদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে আমরা জাত্যাভিমানী অসমীয়া জাতীয়তাবাদী নেতাদের বা অসমীয়া সমাজের কাছে ইহাই বলতে চাই বাংঙালী সে বরাক উপত্যকার হোক বা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার হউক কেহ অসমীয়া ভাষা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে নয়। আমরা সংঘাত নয় -  সমন্বয় বিশ্বাসী। সরকারী আইন যার যে অধিকার আছে , তা যেনো সুরক্ষিত থাকে। ভারতবর্ষের আইন কাঠামোয় সংবিধান ও মৌলিক অধিকার বলে কিছু কথা আছে। আমরা তার সুরক্ষা ও যথাযথ পালন চাই। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রেখে কোনো সময় শান্তি আসতেপারেনা তাই সরকারের প্রতি হিংশামূলোক  আচরণ পরিহার করে অবিলম্বে প্রদীপ দত্ত রায়ের উপর থেকে ষঢ়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তি দেওয়া হউক। নতুবা বরাক তথা অসমের বাঙ্গালীদের মধ্যে যে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হচ্ছে। তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে। আর এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে সরকার। 

যে প্রক্রিয়ায় প্রদীপ দত্ত রায়কে গ্রেপ্তার করা হলো,তা সরকারের ঘোষিত নীতির পরিপন্থী। সরকার যেখানে বলেছেন -  কোনো এজাহার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নথিভূক্ত করা যাবে না , ভালো করে তদন্ত করে নথিভূক্ত করতে হবে ,কিন্তু এই ক্ষেত্রে গতকাল সন্ধ্যায় এজাহার দেওয়া হলে, আর সঙ্গে সঙ্গে নথিভূক্ত করে গ্রেপ্তার করা হলো। যাহা এক ষঢ়যন্ত্র ছাড়া কিছু  না বলে মনে করে আমরা বাঙালি ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.