Header Ads

অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ঘৃণা প্রচারের অভিযোগে দিল্লির ২ সাংবাদিকে আটক করল নিলামবাজার পুলিশ



 নয়া ঠাহর প্রতিনিধি,      ত্রিপুরায় খবর সংগ্রহে আসা দুই মহিলা সাংবাদিককে আটক করল ত্রিপুরা পুলিশ।  মুম্বাইয়ের  ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম এইচ ডব্লিউ নেটওয়ার্কে কর্মরত দুই সাংবাদিক সমৃদ্ধি সকুনিয়া ও স্বর্না ঝা-কে ত্রিপুরায়  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার দায়ে আটক করল পুলিশ। ত্রিপুরার গোমতী জেলার কাকড়াবন থানার পুলিশের একটি স্ব- প্রনোদিত মামলামূলে আসামের নিলাম বাজার থানার পুলিশ তাদেরকে আটক করে।ধর্মনগর মহিলা থানার পুলিশ নিলাম বাজার থেকে বহিঃরাজ্যের দুই মহিলা সাংবাদিককে রাজ্যে নিয়ে আসছেন। অন্যদিকে কাকড়াবন থানার পুলিশ ধর্মনগর থেকে তাদের কাকড়াবন  থানায় নিয়ে আসবেন।দুই মহিলা সাংবাদিক কাকড়াবন থানা এলাকার হুরিজলার  রহমত আলি নামে এক ব্যক্তির আধা পোড়া একটি ঘরের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রাজ্য পুলিশের। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩ -এ/১৫৩- বি/১৯৩/৫০৪/১২০-বি/২০৪ ধারায় তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে রাজ্য পুলিশের  তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ফটিকরায় থানায়ও তাদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত হওয়া একটি মামলায় ২১ নভেম্বর তাদেরকে ফটিকরায় থানায় হাজির হতে নোটিশ জারি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।রবিবার রাতে  ঘটনা জানতে রাজ্যে আসা দুই মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।  অন্যদিকে দুই মহিলা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে  পুলিশের মামলা, রাতভর হয়রানী ও ভয় দেখানো এবং আটক করার  ঘটনার  তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে সিপিআইএমএল, ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি। দলের রাজ্য সম্পাদক পার্থ কর্মকার এক বিবৃতিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ত্রিপুরায় সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা  সাংবাদিকদের সঙ্গে  রাজ্য পুলিশের এই অমানবিক আচরণ ও  নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেন, শারদ উৎসবের সময়  বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের  ঘটনার পর ত্রিপুরায় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনার খোঁজ খবর নিতে  তাঁরা ঊনকোটি ত্রিপুরা জেলার আক্রান্ত পাল বাজার মসজিদ এলাকায় খবর সংগ্রহ করতে যান। শনিবার  তাদের আসার খবর পেয়ে  জনৈক কাঞ্চন দাস নামে এক ব্যক্তি  ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও রাজ্য বিজেপি সরকারের অবমাননা, সাম্প্রদায়িক শান্তি সম্প্রীতি বিনষ্ট করছেন এই অভিযোগ এনে ফটিকরায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।সঙ্গে  সঙ্গেই  সরকারের নির্দেশে ফটিকরায় থানার পুলিশ এই দুই সাংবাদিককে সারা রাত  হোটেলে বন্দী করে রেখে  হয়রানী করেন। নানাভাবে  ভয় দেখায়। সরকার ও পুলিশের এইধরনের কার্যকলাপ একেবারেই বেআইনী ও অসাংবিধানিক।খবর নিয়ে জানা গেছে, রবিবার  সকাল ৫'৩০ টায় পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করে। আইন মোতাবেক  কোনও বিচারপতির বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন মহিলাকে রাতের বেলায় গ্রেপ্তার বা নজরবন্দী করা যায় না। তাছাড়া রাজ্যে সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাও আজ আক্রান্ত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিপন্ন। এমতাবস্থায় স্বাধীন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা পুলিশের উদ্দেশ্যপ্রনোদিত  মামলা, রাতভর হয়রানী  ও ভয় দেখানোর ঘটনার  তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে  সিপিআই(এমএল), ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি ।পুলিশের এই ধরনের বেআইনী ও অসাংবিধানিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছে সিপিআইএমএল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.