দূষণ আর দুর্নীতির মাঝে আত্মকেন্দ্রিক লোভি মানুষের বাস যেখানে প্রকৃতি রুষ্ট হবেই
অমল গুপ্ত -জলবায়ু ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে।এক মার্কিন গবেষণা সন্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে।সাগরের তল দেশে তাপ মাত্রা বাড়ায় জল স্তর উপরে উঠছে।এভাবে চললে আগামী 2030 সালের মধ্যে সুন্দরবন, পশ্চিমবঙ্গের মত সাগর উপকূলবর্তী জেলাগুলো ডুবে যাবে।2050 সালের মধ্যে তাপমাত্রা 2 ডিগ্রির মত বাড়তে পারে।বিশ্বব্যাপী খরা,অতিবৃষ্টি,বন্যা,দাবানল ,সামুদ্রিক ঝড় বৃষ্টি লেগেই চলেছে। কার্বন নির্গমন লাগাম ছাড়া,বাতাসে কার্বন বিষাক্ত বিষ নিয়ন্ত্রণহীন।ব্যাপক জল দূষণ। দেশে র সব নদী দূষিত, ভু গর্ভ র জল স্তর নিঃশেষ হতে বাকি নেই।পাহাড়, জঙ্গল, নদী জলাশয় সব লোভীমানুষের হাতে পড়ে শেষের পথে। সভ্যতার অভিশাপ প্লাস্টিক ,আর আবর্জনার পাহাড় ,সাগর কে দূষিত করছে। সাগরের তিমি র মত বিশাল প্রাণী শিকার চলছে। অস্তিত্বের সংকটে। দেশের খনি অঞ্চলের জঙ্গল সাফ, কয় লা ,তেল , গ্যাস উত্তোলন চলছে। তাও শেষের পথে।বড় বড় বাঁধ নির্মাণের ফলে নদ নদীর স্বাভাবিক গতি পথ রুদ্ধ, বড় বড় নদীগুলি বৃষ্টির জল ধারণের ক্ষমতা হারাচ্ছে।ভাসাচ্ছে জন পদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে 30 শতাংশ বন ভূমি থাকা দরকার্ দেশে তার অর্ধেক জঙ্গল ও নেই। মানুষের হাতে পড়ে সাফ হতে বাকি নেই।দেব ভূমি কেদারনাথ যে ভাবে একবার বরফ,পাহাড়,পাহাড়ি নদী প্রস্তর খণ্ড সবকে গুড়িয়ে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছে প্রকৃতি কি ধরনের প্রতিশোধ নিতে পারে। মানুষের ব্যক্তিগত লোভ লালসা ,বিলাস বৈভব জীবন জলের অপচয়, গাছপালার প্রতি আন্তরিকতার অভাব,ব্যাপক হারে প্লাস্টিক ব্যাবহার, চারপাশে আবর্জনার স্তূপকরে জীবন যাপন। দূষণ আর দুর্নীতির মাঝে আত্ম কেন্দ্রিক মানুষের বাস।যেখানে পরিবেশ ,প্রকৃতির আকাশ বাতাসে র নিরাপত্তা নেই। নিজেদের কবর নিজেরাই খুড়ছে।
কোন মন্তব্য নেই