রাজ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সমমর্যাদা, সমবিচার না দিয়ে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রেখে, উচ্ছেদের নামে হেনস্থা করছে সরকার অভিযোগ সাংসদ আব্দুল খালেকের
অমল
গুপ্ত, গুয়াহাটি :
বিজেপির সর্বানন্দ সনোয়াল সরকার গত পাঁচ বছরে একজনও মাদক
প্যাডলার ধরা পড়েনি কেন? এখন
হিমন্ত বিশ্ব শর্মার আমলে কোটি কোটি টাকার
মাদক ধরা পড়ছে কেন? এই প্রশ্ন
সাধারণ মানুষের। এই প্রশ্ন এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমলের। আজমল
মাদক বিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে প্রশ্ন
তুলেছেন গত পাঁচ বছর কেন অভিযান চালানো হয় নি? তিনি
সিন্ডিকেট রাজ খতম করার দাবিও জানিয়েছেন। কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালেক
আজএই প্রতিবেদক এবং এক টি ভি চেনেলে সিন্ডিকেট
রাজ চালানোর পিছনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ
সনোয়ালকে কাঠ গোড়ায় দাঁড়া করিয়েছেন। তিনি সরাসরি বিজেপি মন্ত্রী বিধায়কদের
এই কয়লা প্রভৃতি সিন্ডিকেটে
জড়িয়ে থাকার অভিযোগ করে তদন্তে
তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার দাবি জানিয়েছেন। রাজ্যের
বিভিন্ন সরকারি জমিতে উচ্ছেদ
অভিযান সম্পর্কে সাংসদ খালেক বলেন, হিমন্ত বিশ্ব
শর্মা ৮/১০ বছর শিক্ষা-স্বাস্থ্য
মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি
রাজ্যের দারিদ্র্য পীড়িত মুসলিম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য,
শিক্ষা উন্নয়নে কি করেছেন? এই জনগোষ্ঠীকে শুধুই উপেক্ষা আর অবহেলা
করে গেছেন। উপেক্ষিত এই জনগোষ্ঠীর প্রতি সমবিচার
আর সমমর্যাদা দাবি করে বলেন, এই জনগোষ্ঠীকে শুধুই সন্দেহের দৃষ্টিতে
দেখা হয়। ভয় আর আতঙ্ক গ্রাস করেছে এই জনগোষ্ঠীকে, তাই
বিকাশ হয় না। এন আর সি, ডিটেনশন
ক্যাম্প, ডি ভোটারের নামে
সন্দেহের চোখে দেখা হয় মুসলিম জনগোষ্ঠীকে। গুয়াহাটিতে
বসে বরপেটার কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালেক আজ
আরও বলেন, সরকারি জমি থেকে উচ্ছেদ চলতেই
পারে কোনও আপত্তি নেই। তবে বিদেশি আর ভারতীয়
নাগরিক বৈধ নথিপত্র থাকা মুসলিমদের উচ্ছেদ এক ব্যাপার নয়। বিদেশিদের
সীমান্তে বিতারণ করা হোক তিনি স্বীকার করেন বাল্য বিবাহের মত প্রথা বন্ধ করতে উপযুক্ত শিক্ষার প্রয়োজন। তিনি বলেন, উচ্ছেদ হওয়া জমি আবারতো
দখল হতে পারে। মানবিকতার
প্রশ্ন তুলে সাংসদ বলেন, জটিল করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উচ্ছেদ
অভিযান কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। তাদের বিকল্প ব্যবস্থা করা হোক, বিদেশি
প্রমাণিত হলে বিতারণ করা
হোক। এইভাবে হেনস্থা করার অধিকার সরকারের নেই।
কোন মন্তব্য নেই