Header Ads

উচ্ছেদের প্রতিবাদ আমসু, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : গুয়াহাটি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন কোভিড পরিস্থিতিতে যেন  উচ্ছেদ অভিযান সরকার বন্ধ রাখে। রাষ্ট্রয় জনতা দলের রাজ্যিক সভাপতি  সোনারুল শাহ মুস্তাফা, সাধারণ  সম্পাদক  গোপীচাঁদ  সাহাবাদী মহিলা নেত্রী  স্বর্ণ হাজারিকা প্রমুখ একথা উল্লেখ করে সরকারের উচ্ছেদ অভিযানের তীব্র বিরোধিতা করে  গরীব সংখ্যালঘু মানুষকে  বিকল্প পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে মেয়াদি পাট্টা  দেবার দাবি জানিয়েছে। আমসু  এই আই ইউ  ডি এফ ও  একই দাবি জানিয়েছেন।  সরকার এই জটিল পরিস্থিতিতে কিছুদিন উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানিয়েছে। এক সংখ্যালঘু নেতা বলেছেন, সরকারি জমি থেকে একদিন উচ্ছেদ হবেই।  ব্রহ্মপুত্ৰ নদের বান ভাসি  দরিদ্র মানুষগুলো  বার বার   ঘর বাড়ি খুইয়ে  বার বার ঠিকানা বদল করে শেষ পর্যন্ত সরকারি  পরিত্যক্ত জমিতে বাস করতে বাধ্য হয়েছে। তারা বাংলাদেশি নয়। ৭০/৮০ বছর আগে থেকে অসমের  জঙ্গল সাফ করে অনুর্বর পরিত্যক্ত  নদী চরে ঘর বাড়ি তৈরি করে বাস করছিল। রাজ্যের  সবুজ শাক-সব্জি উৎপাদনে মাছ ডিম  উৎপাদনে এই "বাংলাদেশিরা" এক নম্বরে আছে। তাদেরকেই সব চেয়ে বেশি অবহেলা করা হয় বলে সংখ্যালঘু সংগঠনের অভিযোগ। প্রতি বছর বন্যা তাদের গৃহহীন করেছে। সরকারি নথিপত্র সব  নষ্ট  হয়ে গেছে। বার বার  বন্যা স্থায়ী ঠিকানা  ধ্বংস  হয়ে গেছে। আজ  অধিকাংশ গুয়াহাটি মহানগর রের ফুটপাথবাসী, ঠেলাওয়ালা, রিস্কাওয়ালা, ঝুপড়িবাসী। নিবার্চন এলেই রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংখ্যালঘু তোষণ, নির্বাচন শেষ এবার ছুঁড়ে ফেলার মহড়া চলে। গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজ্ঞ হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী  প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোটের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অমানবিকভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে কেন?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.