পরীক্ষা বাতিল পুনর্বিবেচনার দাবি বাঙালি ছাত্র যুব সমাজের
তপময় বিশ্বাস, কলকাতা : গত ৭ জুন ২০২১, ইমেল মারফত কোভিড আবহে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক
পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে সাধারন জনগনের সমর্থন বেশি পরায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা
ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গে এবছরের মাধ্যমিক-উচ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করলেন।
এর ঠিক পরেই চরম অবসাদের জেরে কোচবিহার দিনহাটার গোপাল নগর হাইস্কুলের ছাত্রী
বর্ণালী বর্মন আত্মহত্যা করে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী
ব্রাত্য বসুকে পরীক্ষা বাতিলের পুনর্বিবেচনার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করে
"বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজ"।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন, যখন মুখ্যমন্ত্রী
তিনটি ইমেলের মারফত মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক হওয়া উচিত কিনা এই বিষয়ে জানতে
চেয়েছিলেন তখনই আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম করোনার লেখচিত্র নিম্নমুখী হলে, আবশ্যিক বিষয়ের উপর পরীক্ষা
নেওয়া হোক, কিন্তু জনগণের রায় 'পরীক্ষা না নেওয়া'র দিকে বেশি পরায় মুখ্যমন্ত্রী পরীক্ষা বাতিল
ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তে চরম অবসাদে স্বপ্ন পূরণে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে মাধ্যমিক
পরীক্ষার্থী দিনহাটার বর্ণালী বর্মন আত্মহত্যা করেছে। আমরা তাঁর আত্মার চিরশান্তি
কামনা করি এবং পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে "বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজে"র
পক্ষ থেকে আবেদন করি আত্মঘাতীর সংখ্যা ২-এর ঘরে পৌঁছনোর আগেই পরীক্ষা বাতিল
সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করুক। অনেক ছাত্রছাত্রীরাই উদ্বিগ্নের মধ্যে রয়েছে, তাদের মনে বিভিন্ন আশঙ্কা
বাসা বেঁধেছে। তাছাড়া, সঠিক মূল্যায়ন না হলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত জীবনে
বিভিন্ন প্রতিকূলতা সৃষ্টি হতেই পারে।
আমরা জানি কোভিড আবহে স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা
নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সঠিক মূল্যায়ন তথা ছাত্রছাত্রীদের জীবন গঠনের ভিত মজবুত
করার জন্য, পরিস্থিতি স্বাভাবিক বা করোনার লেখচিত্র কমলে ১০০%
পরীক্ষার্থীদের প্রতিষেধক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পূর্বের ঘোষণা মত হোম সেন্টারে
আবশ্যক বিষয়ের ওপর অর্ধেক নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হোক। এব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই
আরও উন্নত পদ্ধতির কথা জানাবেন। অথবা যুগের আধুনিকতার সর্বোচ্চ উপযোগিতা নিয়ে
পরীক্ষা হোক, হ্যাঁ এক্ষেত্রে বাংলার প্রান্তিক গ্রামের পরীক্ষার্থীদের
দিকে একটু বেশি নজর দিতে হবে। তারা যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই