পাঁচ বছরে পাকিস্তান-বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ১৯ হাজার শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিয়েছে মোদী সরকার !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশে সংগঠিত হিংসা বিষয়ে রাজ্যসভায়
এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশ করা হয়। গৃহরাজ্য মন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় বলেন, এখনও অবধি প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে ১৮,৯৯৯ জন শরণার্থীকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই নাগরিকত্ব ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেওয়া হয়েছে।
নিত্যানন্দ রায় রাজ্যসভায় ওঠা এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ২০১৪ সালে আফগানিস্তানের ২৪৯ জন, বাংলাদেশের ২৪ জন, পাকিস্তানের ২৬৭ জন এবং শ্রীলঙ্কার ৪ জনকে ভারতীয় নাগরিকের অধিকার দেওয়া হয়েছে। এই ৫ বছরে সবথেকে বেশি নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে। রিপোর্ট অনুসারে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মোট ১৫০৩৬ জনকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তানের দেওয়া হয়েছে ২৯৩৫ জনকে।.২০১৫ সালে বাংলাদেশের ১৪৮৮০ জন মানুষকে, আফগানিস্তানের ৯১৪ জনকে, শ্রীলঙ্কার ১১৩ জনকে এবং মায়নমারের বেশ কয়েকজনকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০১৫ সালে ভারত- বাংলাদেশের সীমা চুক্তির পর বাংলাদেশের ১৪৮৬৪ জনকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এবং ২০১৬ সালে এই সংখ্যা হয় ৬৭৭। তবে এই ক্ষেত্রে ২০১৫ সালের পর থেকে আফগানিস্তানের অধিবাসীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া কিছুটা কমে যায়। আফগানিস্তানের ২৪৯ জনকে ২০১৪ সালে ভারতের নাগরিক হিসাবে মেনে নেওয়া হয়। আর সেটাই ২০১৯ সালে কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৪০ জন।
নাগরিকত্ব সংশোধোনী আইনের ভিত্তিতে বহু মানুষকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার গুজব ছড়ানো হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর আইন অনুসারে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ, শিখ নাগরিকদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবেই বলে জানান নিত্যানন্দ রায়।
কোন মন্তব্য নেই