Header Ads

৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১৪২ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, পেপার মিল চা বাগানের কথা বলতে গিয়ে সাসপেন্ড হলেন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, রূপজ্যোতি কুর্মি, পরে প্রত্যাহার



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : হিন্দুস্থান পেপার কর্পোরেশনের অধীন বরাক উপত্যকার পাঁচগ্রাম পেপার মিল এবং মরিগাঁও জেলার জাগিরোড পেপার মিল দুটি প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। কয়েক হাজার কর্মচারী বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। বিনা চিকিৎসায়, খাদ্যাভাবে প্রায় ৬০ জন মারা গেছে। এই মিল দুটি খোলার ব্যাপারে শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি আজ বিধানসভায় বলেন, পুনরুজ্জীবনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এনসি এলটি মিল দুটি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে, কিন্তু কেউ কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে না। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনের জন্য বাইরের কোনো শিল্পপতি অসমে আসতে চাইছে না। যোগীগোপার অশোক পেপার মিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি। তবে অসম সরকার যোগীগোপাতে অশোক পেপার মিল এলাকায় এক বৃহৎ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ক্ষেত্র হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসের কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এবং রূপজ্যোতি কুর্মি মন্ত্রীর জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রচণ্ড হৈচৈ, হুলস্থুল বাঁধিয়ে দেন। অধ্যক্ষ হিতেন্দ্র নাথ গোস্বামী বার বার তাদেরকে শান্ত হয়ে বসার জন্য অনুরোধ জানালেও তা গ্রাহ্য করেনি বিধায়কদ্বয়। পরিশেষে মার্শাল ডেকে তাদের দু'জনকে বার করে আজকের জন্য সাসপেন্ড করেন। পরে শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি অধ্যক্ষের কাছে অনুরোধ করেন। সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। অধ্যক্ষ তা সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেন। অধ্যক্ষ বলেন, তিনি কঠোর হতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ বিধানসভা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নিয়ন নীতি আছে, তা মেনেই বিধানসভা চালাতে হচ্ছে। সদায়ই তিনি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যান। তিনি বলেন, সরকার পেপারমিল দুটি খোলার জন্য খুবই আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি বিরোধী দল বলে কোনো কথা নেই। পরে কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এবং রূপজ্যোতি কুর্মি পরে অভিযোগ করেন, শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রী একবার বলছেন, পেপার মিল দুটিকে ১৯০০ কোটি টাকা দিয়ে পুনরুজ্জীবন করা হবে, একবার বলছেন ৫০০ কোটি টকা দিয়ে পুনরুজ্জীবন করা হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কিছুই করা হচ্ছেনা। রূপজ্যোতি বলেন, চা বাগানগুলির শ্রমিকদের দুরবস্থার শেষ নেই। রেশন, মজুরি পাচ্ছেনা। মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা। সদনে শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রী রাজ্যের শিল্প উদ্যোগের নানা চিত্র তুলে ধরে বলেন, এখন পর্যন্ত ২০১৮-১৯ সালে ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১৪২ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে নুমুলিগড়ে সার্বিক উন্নয়ের চেষ্টা চলছে। রাজ্যে গ্যাস নেই, যার জন্য চা বাগানগুলি, সার কারখানার উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে পাইপলাইন তৈরির কাজ চলছে। তিনি জানান, শিল্প উদ্যোগ কোম্পানিগুলি সরকারি জমি লিজে নিচ্ছে, কিন্ত মালিকানা সত্ত্বেও সরকারের হাতে থাকছে। তিনি জানান, রাজ্যে শিল্প উদ্যোগ স্থাপনের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ভুটানের বাজার পাওয়ার জন্য সীমান্ত অঞ্চলে শিল্প উৎপাদনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কংগ্রেসের ওয়াজেদ আলি চৌধুরীর অভিযোগ খণ্ডন করে চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি বলেন, তিনি কোনো রাজনীতি করছেন না। ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষকে চাকরি দেওয়ার পরেও যদি বলা হয় যে আমি রাজনীতি করছি, তবে আমি রাজনীতি করছি। অগপর পবীন্দ্ৰ ডেকা রাজ্যের শিল্প উদ্যোগ এবং কর্ম সংস্থান নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি শিল্প বিকাশের নানা ক্ষেত্র তুলে ধরেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.