আগামীকাল বাজেট, অর্থনৈতিক সমীক্ষার পূর্বাভাস, ৩০/৩৫ লক্ষ পরিবারকে সরাসরিভাবে আর্থিক সুযোগ সুবিধা।
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা
আগামীকাল ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করবেন। তিনি বেলা দুটোয় বিধানসভায় বাজেট
পেশ করবেন। তার আগে আজ রাজ্যের অর্থনৈতিক সমীক্ষার এক প্রতিবেদন পেশ করেন। সেই
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের ৩০/৩৫ লক্ষ পরিবারকে সরাসরিভাবে আর্থিক সুযোগ সুবিধা
পৌছিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্যের কর্ম সংস্থান, শিশু মহিলা প্রতিবন্ধি, কৃষক, শ্রমিক সহ সমাজের প্রতিটি
ক্ষেত্রে এক বিকাশের ছবি তুলে ধরা হবে। তিনি রাজ্যের জনসংখ্যা বিন্যাসের তথ্য তুলে
ধরেছেন। রাজ্যে বার্ষিক আয়ের এক পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। ৬.৯২ শতাংশ বিকাশের
হারের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কৃষি ক্ষেত্র, শিল্প বিকাশ প্রভৃতির পরিসংখ্যান | তুলে ধরে দাবি করা হয়েছে, এবার রাজস্বের হার বেশি হবে।
রাজ্যে দুধ উৎপাদন ২.২ শতাংশ বাড়বে। মাংস উৎপাদন বাড়বে ৪.১১ শতাংশ। মাছ উৎপাদন
বাড়বে ৫.৮৭ শতাংশ। আজ বিধানসায় পুর্ন বিভাগের উপর ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাবে
পুৰ্ত্তমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তার এই অর্থনৈতিক সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামী অর্থবর্ষে এ রাজ্যে ‘অসম মালা’ শীর্ষক অধীন এক বৃহৎ কর্মসূচির
সরকারের নীতি হল, সব রাস্তা
পৌঁছবে বিদ্যালয়ে, এবং সব
রাস্তা পৌছাবে হাসপাতালে। রাজ্যের ৫০০ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরও ঠিকাদারের কাজে নিয়োগ
করে রাস্তার গুণমান উন্নতি করার চেষ্টা করা হবে। এবার আমাদের লক্ষ্য সংখ্যা নয়, গুণমাণের উন্নতি। এক কোটি টাকার
বাজেটে রাস্তার ছবি তুলে ধরার সময় পঞ্চাশজন গ্রামবাসী সাক্ষী রাখতে হবে। পঞ্চাশ
লক্ষ টাকার রাস্তা সম্পূর্ণ হওয়ার পর পঁচিশ জন গ্রামবাসীর সাক্ষী থাকতে হবে। তবেই
সেই রাস্তার অনুমােদন জানানো হবে। ২০১৬ তার সরকার ৯৩০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ
শুরু করেছিল, তা শেষ
পর্যন্ত ৪৩০০ কিলোমিটারে এসে দাঁড়ায়। আগামীকাল বাজেটে অর্থনৈতিক এক সমীক্ষা তুলে
ধরা হয়েছে, তাতে
আর্থিক বিকাশের হার দেখানো হয়েছে ৬.৯২। বরাক উপত্যকার প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, তিনি কাটিগড়া অঞ্চলে রাস্তাঘাট
দেখতে গিয়েছিলেন, কিন্তু
মন্ত্রী বা বিধায়ককে তিনি পাশে পাননি, আবার বরাক উপত্যকায় যাব। তিনি
বলেন, বিধায়করা
রাস্তার গুণমান পরীক্ষা করতে গিয়ে বালি-পাথরের খবর নেয়। কিন্তু তাদের আইন
প্রণয়ন কাজে ব্যস্ত থাকতে লাগে। জানান, বিশ্ব ব্যাংকের টাকায় ‘অসম মালার কাজ হবে। তিন বছরে ৫৩
হাজার কিলোমিটার রাস্তা বানানোর লক্ষ্য নিয়ে তারা এগোচ্ছে। কাঠের সেতুগুলো সব
কংক্রিটের করা হবে। আজ বিধানসভায় অর্থমন্ত্রীর পক্ষে পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন
পাটোয়ারি ‘দি আসাম
বিনিয়োজন (নং ১) বিধেয়ক, ২০২০’ বিলটি অনুমোদনের জন্য পেশ করেন।
অধ্যক্ষ হিতেন্দ্র নাথ গোস্বামী পুর্ত বিভাগ ছাড়া বাকি বিভাগের আলোচনা ‘গিলোটিন’ প্রয়োগ করে বাতিল করে দেন।
কোন মন্তব্য নেই