অসময়ে চলে গেল মেধাবী মেয়ে ঋতুপৰ্ণা, আত্মীয়দের অভিযোগ, কারণ অৰ্থসংকট এবং সরকার
নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ
হিন্দুস্তান পেপার মিলের কৰ্মচারি দেবব্ৰত নাথের মেয়ে ঋতুপৰ্ণা নাথ গতবছর বি-টেক করেছেন। সে বছরই অক্টোবরে ঋতুপৰ্ণার লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। আৰ্থিক অভাবের জেরে ঠিকমতো চিকিৎসা করতে না পেরে বুধবার অসময়ে চলে গেলেন ঋতুপৰ্ণা। সরকারী চাকরি থাকা সত্বেও দেবব্ৰতকে মেয়ের চিকিৎসা চালাতে বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছে টাকা ধার করতে হয়েছে। তার কারণ গত তিন বছর ধরে কাছার এবং নগাঁও কাগজ কলের কৰ্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। নাথের পরিবার কোনওমতে ধার দেনা করে টাকা জোগার করে মুম্বইয়ের টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে মেয়ের চিকিৎসা করান। সেখানে চিকিৎসকরা আরও থাকার পরামৰ্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু অৰ্থের অভাবে দুটো কেমোথেরাপি পৰ্বের পর অসুস্থ মেয়েকে অসমে নিয়ে আসা হয়। মামার বাড়িতে থেকে কাছার ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা চলতে থাকে। কিন্ত সেখানে চিকিৎসা সন্তুষ্টিজনক ছিল না, অভিযোগ আত্মীয়দের। গত বুধবার ঋতুপৰ্ণা ক্যান্সারের কাছে হেরে যায়।
এখানেই শেষ নয়, দেবব্ৰত নাথের একমাত্ৰ ছেলে দেবৰ্ষী নাথ কলকাতার একটি বেসরকারি কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলেন। গত সপ্তাহে হৃদরোগে আক্ৰান্ত হয়। দেবৰ্ষীকে সঙ্গে সঙ্গে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওআ হলে সেখানে প্ৰাথমকি চিকিৎসার পর কৰ্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামৰ্শ দেন। জিএমসিএইচ-এর চিকিৎসকরা দেবৰ্ষি নাথের বাইপাস সাৰ্জারি করতে হবে বলে জানান। ফলত তাকে নৰ্থ ইস্টাৰ্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইন্সে ভৰ্তি করাতে হবে। তারা স্বাস্থ্যের কছিউটা উন্নতি হলেও তার বাইপাস সাৰ্জারি হয়তো করতে হতে পারে বলে জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে দেবব্ৰত নাথের সবচেয়ে সমস্যা হল অৰ্থের অভাব। পরিবারের পক্ষ থেকে অৰ্থ, স্বাস্থ্য ও পূৰ্তমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার দফতরে সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কাৰ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও দেবৰ্ষি নাথের বন্ধ-বান্ধব এবং টাউনশিপের অন্যান্য বাসিন্দারা একটি ‘ফান্ড ক্যাম্পেইন’ শুরু করেছেন। দেবৰ্ষি নাথের এক বন্ধু জন্মজিৎ চৌধুরি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন- ‘‘ আমরা সবাই পাঁচগ্ৰাম হিন্দুস্তান পেপার কৰ্পোরেশন-এর অবস্থা জানি, যেখানে দেবৰ্ষির বাবা কাজ করতেন। বছরের পর বছর ধরে তার বাবা বেতন পাচ্ছেন না, অৰ্থাভাবে ভুগছেন। তাই আমি দেবৰ্ষি নাথের সাৰ্জারির জন্য কিছু অনুদান দেওয়ার অনুরোধ করছি।’’ অনুদানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা এসবিআইয়ের এই অ্যাকাউন্টে অৰ্থ সাহায্য করতে পারেন।
ব্যাঙ্কের বিবরণ-
এসবিআই অ্যাকাউন্ট নম্বরঃ ৩৩২৬৯৩৫৯২০৯
অ্যাকাউন্টধারীর নাম- রত্না নাথ
আইএফএসসিঃ এসবিআইএন০০০৭৬৪৮
হিন্দুস্তান পেপার মিলের কৰ্মচারি দেবব্ৰত নাথের মেয়ে ঋতুপৰ্ণা নাথ গতবছর বি-টেক করেছেন। সে বছরই অক্টোবরে ঋতুপৰ্ণার লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। আৰ্থিক অভাবের জেরে ঠিকমতো চিকিৎসা করতে না পেরে বুধবার অসময়ে চলে গেলেন ঋতুপৰ্ণা। সরকারী চাকরি থাকা সত্বেও দেবব্ৰতকে মেয়ের চিকিৎসা চালাতে বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছে টাকা ধার করতে হয়েছে। তার কারণ গত তিন বছর ধরে কাছার এবং নগাঁও কাগজ কলের কৰ্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। নাথের পরিবার কোনওমতে ধার দেনা করে টাকা জোগার করে মুম্বইয়ের টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে মেয়ের চিকিৎসা করান। সেখানে চিকিৎসকরা আরও থাকার পরামৰ্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু অৰ্থের অভাবে দুটো কেমোথেরাপি পৰ্বের পর অসুস্থ মেয়েকে অসমে নিয়ে আসা হয়। মামার বাড়িতে থেকে কাছার ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা চলতে থাকে। কিন্ত সেখানে চিকিৎসা সন্তুষ্টিজনক ছিল না, অভিযোগ আত্মীয়দের। গত বুধবার ঋতুপৰ্ণা ক্যান্সারের কাছে হেরে যায়।
ছবি, সৌঃ বরাক বুলেটিন
এখানেই শেষ নয়, দেবব্ৰত নাথের একমাত্ৰ ছেলে দেবৰ্ষী নাথ কলকাতার একটি বেসরকারি কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলেন। গত সপ্তাহে হৃদরোগে আক্ৰান্ত হয়। দেবৰ্ষীকে সঙ্গে সঙ্গে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওআ হলে সেখানে প্ৰাথমকি চিকিৎসার পর কৰ্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামৰ্শ দেন। জিএমসিএইচ-এর চিকিৎসকরা দেবৰ্ষি নাথের বাইপাস সাৰ্জারি করতে হবে বলে জানান। ফলত তাকে নৰ্থ ইস্টাৰ্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইন্সে ভৰ্তি করাতে হবে। তারা স্বাস্থ্যের কছিউটা উন্নতি হলেও তার বাইপাস সাৰ্জারি হয়তো করতে হতে পারে বলে জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে দেবব্ৰত নাথের সবচেয়ে সমস্যা হল অৰ্থের অভাব। পরিবারের পক্ষ থেকে অৰ্থ, স্বাস্থ্য ও পূৰ্তমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার দফতরে সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কাৰ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও দেবৰ্ষি নাথের বন্ধ-বান্ধব এবং টাউনশিপের অন্যান্য বাসিন্দারা একটি ‘ফান্ড ক্যাম্পেইন’ শুরু করেছেন। দেবৰ্ষি নাথের এক বন্ধু জন্মজিৎ চৌধুরি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন- ‘‘ আমরা সবাই পাঁচগ্ৰাম হিন্দুস্তান পেপার কৰ্পোরেশন-এর অবস্থা জানি, যেখানে দেবৰ্ষির বাবা কাজ করতেন। বছরের পর বছর ধরে তার বাবা বেতন পাচ্ছেন না, অৰ্থাভাবে ভুগছেন। তাই আমি দেবৰ্ষি নাথের সাৰ্জারির জন্য কিছু অনুদান দেওয়ার অনুরোধ করছি।’’ অনুদানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা এসবিআইয়ের এই অ্যাকাউন্টে অৰ্থ সাহায্য করতে পারেন।
ব্যাঙ্কের বিবরণ-
এসবিআই অ্যাকাউন্ট নম্বরঃ ৩৩২৬৯৩৫৯২০৯
অ্যাকাউন্টধারীর নাম- রত্না নাথ
আইএফএসসিঃ এসবিআইএন০০০৭৬৪৮
কোন মন্তব্য নেই