দেশ যদি ভালাে না থাকে তবে হিমন্ত কি করেই বাভালাে বাজেট তৈরি করবেন? প্রশ্ন তরুণ গগৈর
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ আজ থেকে অসম বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের বিতর্ক শুরু হয়েছে। সরকারি ও বিরােধী দলের সদস্যরা এই বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা বাজেটকে জনমুখী বাজেট, রাজ্যের সব জনগােষ্ঠীর মানুষের স্বার্থে বাজেট বলে প্রশংসা করেছে, সরকারি পক্ষ এমন অভিমতও পােষণ করেছে, ৪০ বছরে যে সমস্যার সমাধান হয়নি, তা চার বছরেই অধিকাংশ সমাধান হয়ে গেছে। বিরােধী পক্ষের অভিযােগ, সারা | দেশে আজ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, আর্থিক অবস্থা শােচনীয়, এই প্রেক্ষাপটে স্থায়ী সমাধান নয়, স্বল্প মেয়াদি কিছু প্রকল্প ঘােষণা করে হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা সাময়িকভাবে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করেছেন। কারণ সামনে নির্বাচন আসছে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়ালকে ভাগ্যবান’ মুখ্যমন্ত্রী বলে সম্বােধন বলে বলেন, আমরা কর্মচারীদের বেতন দিতে পারিনি, ব্যাংক ঋণ দেয়নি, চারদিকে সন্ত্রাসবাদ, অশান্তি, গুপ্তহত্যা, আলফার তাণ্ডব এইসব প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের যেতে হয়েছিল। উন্নয়নের কাজ থমকে গিয়েছিল। আমাদের সময়কার মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এখন সবকিছুতে বাহবা নিতে চাইছেন। আমাদের কংগ্রেস সরকারকে পঙ্গু’ বলে উপহাস করছে। এখন বিজেপিতে এসেই তার পঙ্গুত্ব চলে গেল! বর্তমান সারা দেশের দেউলিয়া অবস্থা। রেল,নুমলিগড়, জীবন বীমা, ব্যাংক, এয়ার ইন্ডিয়া, পেপার মিল সব বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। কর্পোরেট হাউসের মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এইসব করা হচ্ছে। আম জনতার দুরবস্থার শেষ নেই, দোকানপাট সব বন্ধ, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা নেই, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বাজেটের কৃতিত্ব নিতে চাইছেন। দেশ যদি ভালাে না থাকে তবে হিমন্ত কি করেই বা ভালাে বাজেট তৈরি করবেন? তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ গ্রাম, সেই গ্রামের মানুষের আর্থিক উন্নয়ন না করেই মুষ্ঠিমেয় কর্পোরেট হাউসকে খুশী করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অসমে বন্যা ও ধ্বসের মতাে সমস্যাকে বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। রাজ্যে শিল্প বিনিয়ােগের জন্য অ্যাডভ্যান্টেজ অসম হল। কোথায় শিল্প ? কোথায় কর্মসংস্থান হচ্ছে? শিক্ষার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাহলে রাজ্যে তিন হাজার বিদ্যালয়ে একজন করে শিক্ষক কেন? দেশের মধ্যে অসমে সব থেকে স্কুল ছুট ছাত্রদের সংখ্যা বেশি। স্বাস্থ্য চিত্র ভালাে নয়। মেডিক্যাল কলেজ করা হয়েছে, বরপেটা, তেজপুর প্রভৃতি মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামাে এখন উন্নত নয়। বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। গুয়াহাটি মহানগরেই যদি পানীয় জল না থাকে তবে আমরা তিতাবরের মানুষ কি করেই জল পাবাে? প্রতিবন্ধীদের এক হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের জন্য ৪০০টি পদ খালি আছে। কিন্তু আজও পদ পূরণ করা হয়নি।
কোন মন্তব্য নেই