Header Ads

চল্লিশ বছরে যা হয়নি, চার বছরে বিজেপি সেই কাজ করে বরাকের সার্বিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে ঃ কিশাের নাথ


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ বিজেপির কিশাের নাথ সরকারের প্রশংসা করে বলেন, বিগত ৪০ বছরে বরাকে যা হয়নি, তা চার বছরে এই করে দেখিয়েছে বিজেপি সরকার। রেল, সড়ক যােগযােগের উন্নতি হয়েছে। মাত্র ৬-৭ ঘণ্টায় গুয়াহাটি পৌছানাে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার বরাকে এক বৃহত্তম লজিষ্টিক হাব তৈরির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। বৃহত্তম বিমানবন্দর তৈরির জমি দেখা হচ্ছে। বরাকে মিনি সচিবালয়ের কাজ চলছে। কলকাতা থেকে জাহাজে বরাকে পণ্য পরিবহনের চেষ্টা চলছে। বরখােলায় বরাক নদীর উপরে আরেকটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়াল বরাক ব্রহ্মপুত্রের সমন্বয়ের কথা, সম মর্যাদার কথা বলে থাকেন। সেই ভাবেই সরকার ব্রাককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আগে বরাকে পােষ্টিং মানে শাস্তি বলে গণ্য করা হত। এখন ব্রাকের সার্বিক উন্নতির ফলে সে ধারণা পাল্টিয়েছে। কংগ্রেসের দেবব্রত শইকিয়া বাজেটের সমালােচনা করে বলেন, কৃষিক্ষেত্রে এবং পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা তাে হলােই না, বাজেটের পরিমাণও কমিয় দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের অজন্তা নেওগ মন্তব্য করেন, ভালাে ভালাে কবিতা, শ্লোকে সমৃদ্ধ বাজেট শুনতে খুব ভালাে লেগেছে। বাস্তবে বাজেটে জনগণের স্বার্থে বিশেষ কিছু নেই। তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় বেকারদের ৫০০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে বলে ঘােষণা করা হয়েছিল। সেই মতাে তাদের ফর্মও দেওয়া হয়। যথারিতি শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে বিলি করা হয়। কিন্তু সরকার শেষ পর্যন্ত ৫ হাজার টাকার বেশি অর্থ ব্যয় করেনি। সে স্বপ্নও অধরা থেকে গেল। গােলাঘাট চিনিকল বন্ধ, পেপারমিল দুটি বন্ধ হয়েগেছে। বেকার সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। রাজ্যে অঢেল শাক-সজি উৎপাদিত হয়। কিন্তু তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। মধ্যভােগীদের দাপট, হতাশ সজি উৎপাদকরা তাদের ফসল রাস্তাঘাটে ফেলে দিতে বাধ্য হয়। বিজেপির তেরেস গােয়ালা বাজেটের উচ্চ প্রশংসা করে বলেন, চ বাগানের শ্রমিকরা যা কোনােদিন। ভাবেনি, তা এখন পাচ্ছে। বিদ্যুৎ ছিল না, বিদ্যুৎ পাচ্ছে, শিক্ষা পাচ্ছে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে পাঁচ হাজার টাকা করে জমা দেওয়া হচ্ছে। অগপর রমেন্দ্র নারায়ণ কলিতা এই বাজেটকে সুন্দর বাজেট বলে বর্ণনা করে বলেন, এই বাজেট নিম্ন মধ্যবিত্ত স্তরের মানুষ উপকৃত হবেন। গুয়াহাটি মহানগরে জলাশয় দিপরবিলকে উন্নত করে পর্যটন স্থল হিসাবে গড়ে তােলার দাবি জানান। গুয়াহাটি মহানগরের শােচনীয় জল সঙ্কটের কথা তুলে ধরেন। এআইইউডিএফের আমিনুল ইসলাম এই বাজেটের সমালােচনা করে বলেন, এই বাজেটে রাজ্যের ভয়াবহ বন্যা ও ধ্বসের সমস্যায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এপর্যন্ত তিন হাজারের বেশি গ্রাম বন্যায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, এই সর্বস্বান্ত মানুষগুলি বার বার আশ্রয় বদল করছে। ফলে তাদেরকে বিদেশি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাজেটে জাপানি ভাষা শেখার উৎসাহ দিয়ে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে অথচ আরবি ভাষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলিতে আরবি ভাষা শেখা বাধ্যতা মূলক। সেসব দেশে শুধু মুসলিম নয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষও আরবি ভাষা শিখে কর্মসংস্থানের সুযােগ পাচ্ছে। আরবি ভাষা বন্ধ হয়ে গেলে এই অঞ্চলের মানুষ এই সুযােদ থেকে বঞ্চি হয়ে যাবে। বিজেপির পদ্ম হাজরিকা এই বাজেটকে এক স্বয়ং সম্পূর্ণ বাজেট বলে উল্লেখ করে বলেন, তার ১৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এতাে উন্নয়ন তার চোখে পড়েনি। রাস্তাঘাট, কৃষি প্রতিটি ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। আজ বিধানসভায় দেবব্রত শইকিয়া, পদ্ম হাজরিকা, আমিনুল ইসলাম, রমেন্দ্র নারায়ণ কলিতা, কিশাের নাথ, সত্যব্রত কলিতা, তরুণ গগৈ, দূর্গ ভূমিজ, বিমল বরা এবং চা বাগান অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসাবে শ্রম বিভাগের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় কিষাণও বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন। আজ বিধানসভায় অধ্যক্ষ হিতেন্দ্র নাথ গােস্বামী, বিরােধী দলপতি দেবব্রত শইকিয়া এক অভিযােগের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, বাজেট ফাঁস হয়েছে বলে অভিযােগ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই অভিযােগ আর না ওঠে তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষপ গ্রহণ করতে হবে। বিধানসভার কার্যপরিক্রমার কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে আগামী মঙ্গলবার দোল উৎসব উপলক্ষ্যে ছুটির ঘােষণা করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.