Header Ads

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষ গুরুত্ব কালীঘাটে ! দিলীপ, কৈলাসকে সঙ্গে নিয়ে গর্ভগৃহে অমিত শাহ !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
কলকাতায় শহিদ মিনারে শুধু দলের সভায় হাজির হওয়া নয়, কলকাতায় আসার পর থেকে সারাদিন নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত অমিত শাহ। এদিন কলকাতায় নামার পরেই তিনি প্রথমে এনএসজি ভবনের উদ্বোধন করেন, তারপর ধর্মতলায় সিএএ নিয়ে সংবর্ধনা সভা। তারপর সেখান থেকে সোজা কালীঘাটের মন্দিরে চলে যান অমিত শাহ।
আমিত শাহ এদিন শহিদ মিনারের সভা সেরেই চলে যান কালীঘাটে। অন্যদিন দুপুর ২ থেকে ৪ টে পর্যন্ত মন্দির বন্ধ থাকলেও রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য দুপুরে খোলা রাখা হয়েছিল মন্দির। মিনিট দশেক তিনি মন্দিরে ছিলেন। এদিন অমিত শাহের সঙ্গে কালীঘাট মন্দিরে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁদের দুজনকে নিয়েই গর্ভগৃহে পুজো দেন অমিত শাহ। 

মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে নিজের নামের পাশাপাশি দেশের নামেও পুজো দিয়েছেন অমিত শাহ। পুজোর সময় তিনজন পুরোহিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কালীঘাটে যাওয়া উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল মন্দির চত্বর। এলাকার সমস্ত দোকান আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুজো দেওয়ার পরেই অমিত শাহ যান রাজারহাটে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে।
এদিকে এবার কলকাতার রাস্তাতেও উঠল সেই বিতর্কিত স্লোগান। কলকাতার শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভায় যোগ দিতে আসার সময় বিজেপি মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে-- 'গোলি মারো শালো কো'! রবিবার অমিত শাহের সভা থেকে এই স্লোগান ওঠায় বিতর্ক শুরু হল কলকাতাতেও। পুলিশ-প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এই ঘটনায়।

এই ‘গোলি মারো শালো কো' স্লোগানই দিল্লির হিংসায় বারুদের মতো কাজ করেছিল। সেই আগুন এখনও জ্বলছে। রক্ত ঝরেছে, প্রাণ গিয়েছে, বহু সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে, তারপরও মানুষ সচেতন হয়নি। তাই দিল্লির পর এবার কলকাতাতেও উঠে গেল মারণ সেই স্লোগান।
দিল্লি নির্বাচনের সময় বিজেপি সাংসদের মুখে এই স্লোগান শোনা গিয়েছিল। তার কী ফল হয়েছিল, তার জ্বলন্ত প্রমাণ দিল্লি। দিল্লির হিংসার পরও কলকাতাতে মুখে মুখে ফিরল সেই স্লোগান। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বুক ফুলিয়ে এই স্লোগান দিতে দিতে শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভাতে গেলেন।
দিল্লিতে হিংসার পরও বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর বা বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লি পুলিশ। এই বাংলাতেও সম্প্রতি গুলি মারার নিদান দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুরা। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়নি।

সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী দাবি করলেন, রাজ্যের পুলিশ করছেটা কী? অবিলম্বে গোলী মারে স্লোগান তোলা কর্মী-সমর্থকদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। কেন অমিত শাহের সভার অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই প্রশ্ন উত্থাপন করেন কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীরও। তিনিও মমতা-শাহের সেটিংয়ের তত্ত্ব তুলে ধরেন। অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.