বিধানসভা কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্গঠন করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভোটারদের নির্ণয়ক শক্তিকে দুর্বল করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : নাগরিকিত্ব সংশোধনী আইনটি ভারতীয় সংবিধানের 14 অনুচ্ছেদ সহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার বা ব্যাক্তি
স্বাধীনতা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে, বিশেষ করে
ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি করে আন্দোলনে সামিল হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কা বিরোধী আন্দোলনকে নতুন মাত্রা
দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যাগরিষ্ঠ
ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভোটার তৃণমূলের ছাতার নীচে, বিহারের অবস্থানও তাই, অসমের ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষ কা বিরোধী
আন্দোলনে কড়া স্থিতি গ্রহণ করেছে। 2021 সালে বিধানসভায় নির্বাচন, ইতিমধ্যে 5,6টি রাজ্যে বিজেপির পরাজয় ঘটেছে, এবার ধর্মীয়
সংখ্যালঘু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধানসভা কেন্দ্রগুলির সীমানা পূর্ণনির্ধারণ করার
কৌশল গ্রহণ করতে চলেছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
এক সপ্তাহের মধ্যে এ সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে বলে আজ এক সূত্র দাবি করেছে। মমতার
রাজ্যে বিজেপি বিধানসভায় সহজে জয় পাবে না। বিহারের অবস্থাও অনুকূল নয়, অসমে সর্বানন্দ সনোয়াল সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতা
দখলের পথকে প্রশস্ত করার জন্যে 126টি বিধানসভার
মধ্যে 35,40টি সংখ্যালঘু
এলাকার বিধানসভা কেন্দ্রের সীমানা রদ বদল করে মুসলিম ভোটারদের বিভিন্ন বিধানসভা
কেন্দ্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিতে চাই, যাতে মুসলিম ভোটাররা
নির্ণয়ক শক্তি হয়ে উঠতে না পারে। রাজ্যের 15টি জেলাতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ
সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, ধুবড়ি, মরিগাঁও, গোয়ালপাড়া, নগাঁও,
দরং, বরপেটা, করিমগঞ্জ প্রভৃতি জেলাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ। যে সব
নির্বাচন কেন্দ্রে বিজেপির পরাজয় ঘটেছে, দ্বিতীয় স্থান ও
পাইনি সেই সব কেন্দ্রগুলো সীমানা বদলের চেষ্টা করবে বলে সূত্রটির দাবি। কা বিরোধী
আন্দোলনের ফলে কংগ্রেস, এআইইউডিএফ লাভমান হবে, আসুর নেতৃত্বে আন্দোলনের ফলে রাজ্যের অসমীয়া
জাতীয়তাবাদী ভোটারদের বিরাট অংশের সমর্থন হারাবে বিজেপি, এসব অঙ্ক হিসাব নিকাশ করে বিজেপি কোনো ঝুঁকি
নিতে চাইছে না, সীমানা পাল্টিয়ে
ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভোটারদের নির্ণায়ক শক্তিকে দুর্বল করতে চায়।
কোন মন্তব্য নেই