Header Ads

অসম চুক্তির ৬ নম্বর দফা রূপায়নের প্রতিবেদন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি বিপ্লব কুমার শর্মা



নয়া ঠাহর প্রতিবেদন
  অসম চুক্তির ৬ নম্বর দফা রূপায়নের প্রতিবেদন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের হাতে তুলে দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিপ্লব কুমার শর্মার নেতৃত্বে গঠিত উচ্চস্তরীয় কমিটি। প্রায় ১৭০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার ব্রহ্মপুত্র রাজ্যিক অতিথি শালায় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।  মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিবেদন দাখিল করার সময় উপস্থিত থাকেন রাজ্য সরকারের সমস্ত  মন্ত্রী।২০১৯সনের ১৫জুলাই অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি বিপ্লব শর্মা নেতৃত্বে গঠন করা হয় এই কমিটি।
উল্লেখ্য যে অসম চুক্তির ৬ নম্বর দফা রূপায়নের পরামর্শ সম্বলিত  ১৭০পৃষ্ঠার ও বেশী প্রতিবেদনটি দাখিল করা হল বন্ধ খামে। ।ওদিকে প্রতিবেদন দাখিল করে এ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের আগে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে কমিটির অধ্যক্ষ বিপ্লব কুমার শর্মা বলেন যে অসম চুক্তির ৬ নম্বর দফার আদলে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। ৬ নম্বর দফাতে বলা হয়েছে যে অসমীয়া ভূমিপুত্রদের সাংবিধানিক ,সাংস্কৃতিক ও এই ধরনের অধিকার  গুলির উপরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বিগত ৩৪ বছরেও সেই ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। বিপ্লব কুমার শর্মা বলেন যে এই উচ্চস্থারীয় কমিটিটি ১২০০ও  বেশি স্মারক পত্র ও আবেদন  পত্র পেয়েছিল। তিনি একথাও বলেন যে এর জন্য তারা অসমের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে সবার মতামত নিয়ে তাদের সামর্থ অনুযায়ী যেটুক করতে পারা যায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রতিবেদন দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে ।তিনি খুব সংক্ষেপে প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকা বিষয়টি সম্পর্কে তিনি বলেন যে সাংবিধানিক সাংস্কৃতিক সমস্ত দিক নিয়ে তথা যে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা কমিটি প্রস্তুত করা হয়েছিল সেই বিজ্ঞপ্তির ২(এফ)দফাতে যে বিশেষ কথা লিপিবদ্ধ করতে পারা যায় তার উপরেও তাদেরকে বলার অধিকার দেওয়া হয়েছিল ।আর সেটার ওপরে ভিত্তি করে ভূমি অধিকার, সংরক্ষণ, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, কেমন হতে পারে বা চাকরির ক্ষেত্রে কোন ধরনের সংরক্ষন করা বা বিধানসভাতে কোন ধরনের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারা যায় কিনা ইত্যাদি সমস্ত কথা নিয়ে বিভিন্ন বিভাগ দ্বারা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।সেই পরামর্শগুলি কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টিগোচর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।  প্রতিবেদনটি ফলপ্রসূ হয়ে উঠার ক্ষেত্রে কেন্দ্রই বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য যে বিপ্লব কুমার শর্মা আরো বলেন যে অসমিয়ার সাংবিধানিক সুরক্ষা আর সাংবিধানিক সুরক্ষার জন্য কোনটা মানুষ গ্রহণ করবে সেটা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। সেই জন্য অসমিয়ার সংজ্ঞা নিরূপণ করতে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ গুলি পর্যালোচনা করে একটি সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ।ওদিকে কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রী অমিত শার এই  প্রতিবেদনটি গ্রহণ করার কথা ছিল। গৃহ মন্ত্রীর  পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী কেন এই প্রতিবেদনটি গ্রহণ করলেন সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে শর্মা বলেন যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চেয়েছিলেন যে তার পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবেদনটি গ্রহণ করুক । কার হাতে দেওয়া হয়েছে সেটা বড় কথা নয়। আমাদের দেওয়া পরামর্শগুলি রূপায়ণ হওয়াটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কথা।
অন্যদিকে প্রতিবেদনটি বন্ধ খামে পাঠানোর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বিত্ত মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন যে এর উদ্দেশ্য এটা যে কেন্দ্রীয় সরকারের এই রিপোর্টটি দেখতে পারবে ।অসমের জনতাদের এই কথাটা বোঝা উচিত এই প্রতিবেদনটি কেন্দ্রীয় সরকার দেখেনি। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবেদনটি পরীক্ষা করবে ।প্রয়োজন সাপেক্ষে রাজ্য সরকার এই প্রতিবেদনের উপর অভিমত তুলে ধরতে পারবে যদি কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের অভিমত নিতে চায়। ওদিকে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিবেদন দাখিল করার সময় উপস্থিত ছিল না সদৌ অসম ছাত্র সংস্থার একজন প্রতিনিধি ।এই উচ্চস্থারীয় কমিটিতে সদৌ অসম ছাত্র সংস্থার উপদেষ্টা ডঃ সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য্য সভাপতি দীপংকর নাথ আর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গোগোই সদস্য হিসেবে ছিল । তথা উচ্চস্তরীয় কমিটির অধিকাংশ বৈঠকে উপস্থিত থেকে  নিজের পরামর্শ দিয়েছিল এই তিনজন ছাত্রনেতারা ।তারপর অন্তিম সময়ে এই তিনজনের অনুপস্থিতি জনসাধারণের মনে প্রশ্নের উদয় করেছে ।কয়েকজন একে কৌশলী স্থিতী বলেও উল্লেখ করেছে। এই প্রসঙ্গে  আসুর উপদেষ্টা ডঃ সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করার জন্য তথা তাদের "কার" বিরোধিতা করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিবেদন দাখিল করার সময় তারা উপস্থিত ছিলেন না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.