ভারতের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সফরসূচি দেখে 'কা' বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করা হয়
অমল গুপ্ত
ভারতবর্ষের মহান ঐতিহ্য পরম্পরা হচ্ছে, অতিথিকে ভগবানের মতো সম্মান করো,মৰ্যাদা দাও। বুদ্ধদেব, বিবেকানন্দের দেশ ভারতবর্ষ, দেশে যখন বাইরের সম্মানীয় অতিথি সফর করবেন, তখন সব আন্দোলন, ক্ষোভ,দাবিকে বন্ধ করে ভারতের অতিথিকে সম্মান জানানো, আমরা কি দেখলাম? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সূচি ঘোষণার পর থেকে দিল্লির শাহিনবাগের আন্দোলন উগ্র রূপ ধারণ করতে শুরু করলো, সব পরিকল্পনা করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যে পথ দিয়ে আগ্রা আসবেন যাবেন সেই পথ আটকে আন্দোলন করে আগুন জ্বালাবার চেষ্টা করা হল, যাতে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘাড়ে সব দায় চাপান, প্রধানমন্ত্রীর বদনাম হয়। আজই প্রেসিডেন্ট ফিরে যাবেন,আজই দিল্লি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলো, ১৩ জন নিহত, ২০০ জন আহত হলো। কাৰ্ফু জারি করা হল রাজধানী শহর দিল্লিতে।
ছবি, সৌঃ এএনআই
সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশকে মানছে না ‘কা’ও এন আর সি বিরোধী আন্দোলনকারীরা। দিনের পর দিন রাজপথ আটকে আন্দোলন করে চলেছে, তাদের আন্দোলন চালাবার জন্যে কে খাবার যোগাচ্ছে? এর পেছনে কোন শক্তি আছে? দেশ ভাগের বলি লক্ষ লক্ষ বাঙালি শারীরিক,মানসিক নির্যাতনের বলি হয়ে , সর্বস্য খুইয়ে এদেশের বিভিন্ন প্রান্তে গরু ছাগলের মতো বসবাস করছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থী সরকার এইসব হতভাগা বাঙালিদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল, মরিচ ঝাঁপির কথা আমরা ভুলে যাইনি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি কার্যকরী হলে দেশ বিভাজনের বলি হতভাগা বাঙালি শরণার্থীদের হিল্লে হতো, অন্তত মৰ্যাদা পেতো। পশ্চিমবঙ্গে ২ কোটি বাঙালি মৰ্যাদা পেতেন। অসমে স্থায়ীভাবে যুগ যুগ ধরে ৬০, ৭০ লক্ষ বাঙালি হিন্দু বসবাস করছে, অসমিয়া ভাষা কৃষ্টি গ্রহণ করেছে । মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বার বার বলছেন, অসমে ৫ লাখের বেশি বাঙালি নাগরিকত্ব পাবে না, একথা বার বার বলার ফলে বাকি ৬০ লক্ষ স্থায়ী বাঙালিকে বিপদে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তাদেরকেও সন্দেহজনক নাগরিক হিসাবে দেখা হচ্ছে, তাদের ভীত নড়বড় হয়ে গেছে। অথচ এই বাঙালিরা বিজেপিকে হাত খুলে ভোট দিয়েছে। এই বাঙালিরা কিন্তু শাহিনবাগ বানায়নি। ১৯ লাখ এন আর সি ছুটদের মধ্যে ১০-১২ লাখ বাঙালি হিন্দু, ডিটেনশন ক্যাম্পের অন্ধকার কুঠুরি তে বিনাবিচারে বন্দি তাদের সংখ্যাই বেশি। রাজপথ বন্ধ করে আন্দোলনে বসেনি কিন্তু। পথ বন্ধ করে, আম জনতাকে দুর্ভোগে ফেলা আন্দোলনকারীদের ‘কা’ সংবিধানের মৌলিক অধিকার, ধর্ম নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করেছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো মুসলিম রাষ্ট্র থেকে মুসলিমদের এদেশে আসতে দিতে হবে? মুসলিম রাষ্ট্র থেকে মুসলিমরা আসবে কেন? তাদের দেশ তো আছেই। সিএএ- তে সরকার মায়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাকে অন্তৰ্ভুক্ত করে তামিল, আহমেদিয়া, রোহিঙ্গিয়াদের এদেশের দরজা খুলে দেবার দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এই দাবি জানাতে হিংসা গণ্ডগোল করতে হবে? দেশের সম্মানীয় অতিথি আসার সময় গণ্ডগোল করে অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ভারতের বদনাম করতে হবে? আন্দোলনকারীরা কি সুপ্রিমকোর্টের থেকেও বেশি ক্ষমতাধর? এদিন দিল্লির রাজপথে দেখা গেল কাশ্মীরের মতো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল মারা হচ্ছে, এত ইট পাটকেল কে সরবরাহ করলো? গত প্রজাতন্ত্র দিবসে দেখা গেল যারা কোনওদিন প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করেনি তারা বেশি বেশি করে জাতীয় পতাকা ওড়ালো, দেশ ভক্তের নাটক করলো। আজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তো শাহিনবাগকে কোনও গুরুত্ব দিলেন না। বলেন-‘কা’ বিরোধী আন্দোলন ভারতের ব্যক্তিগত ঘটনা, স্ট্রং মানসিকতার মোদি সামলে নেবেন।
পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থী সরকার এইসব হতভাগা বাঙালিদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল, মরিচ ঝাঁপির কথা আমরা ভুলে যাইনি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি কার্যকরী হলে দেশ বিভাজনের বলি হতভাগা বাঙালি শরণার্থীদের হিল্লে হতো, অন্তত মৰ্যাদা পেতো। পশ্চিমবঙ্গে ২ কোটি বাঙালি মৰ্যাদা পেতেন। অসমে স্থায়ীভাবে যুগ যুগ ধরে ৬০, ৭০ লক্ষ বাঙালি হিন্দু বসবাস করছে, অসমিয়া ভাষা কৃষ্টি গ্রহণ করেছে । মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বার বার বলছেন, অসমে ৫ লাখের বেশি বাঙালি নাগরিকত্ব পাবে না, একথা বার বার বলার ফলে বাকি ৬০ লক্ষ স্থায়ী বাঙালিকে বিপদে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তাদেরকেও সন্দেহজনক নাগরিক হিসাবে দেখা হচ্ছে, তাদের ভীত নড়বড় হয়ে গেছে। অথচ এই বাঙালিরা বিজেপিকে হাত খুলে ভোট দিয়েছে। এই বাঙালিরা কিন্তু শাহিনবাগ বানায়নি। ১৯ লাখ এন আর সি ছুটদের মধ্যে ১০-১২ লাখ বাঙালি হিন্দু, ডিটেনশন ক্যাম্পের অন্ধকার কুঠুরি তে বিনাবিচারে বন্দি তাদের সংখ্যাই বেশি। রাজপথ বন্ধ করে আন্দোলনে বসেনি কিন্তু। পথ বন্ধ করে, আম জনতাকে দুর্ভোগে ফেলা আন্দোলনকারীদের ‘কা’ সংবিধানের মৌলিক অধিকার, ধর্ম নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করেছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো মুসলিম রাষ্ট্র থেকে মুসলিমদের এদেশে আসতে দিতে হবে? মুসলিম রাষ্ট্র থেকে মুসলিমরা আসবে কেন? তাদের দেশ তো আছেই। সিএএ- তে সরকার মায়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাকে অন্তৰ্ভুক্ত করে তামিল, আহমেদিয়া, রোহিঙ্গিয়াদের এদেশের দরজা খুলে দেবার দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এই দাবি জানাতে হিংসা গণ্ডগোল করতে হবে? দেশের সম্মানীয় অতিথি আসার সময় গণ্ডগোল করে অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে ভারতের বদনাম করতে হবে? আন্দোলনকারীরা কি সুপ্রিমকোর্টের থেকেও বেশি ক্ষমতাধর? এদিন দিল্লির রাজপথে দেখা গেল কাশ্মীরের মতো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল মারা হচ্ছে, এত ইট পাটকেল কে সরবরাহ করলো? গত প্রজাতন্ত্র দিবসে দেখা গেল যারা কোনওদিন প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করেনি তারা বেশি বেশি করে জাতীয় পতাকা ওড়ালো, দেশ ভক্তের নাটক করলো। আজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তো শাহিনবাগকে কোনও গুরুত্ব দিলেন না। বলেন-‘কা’ বিরোধী আন্দোলন ভারতের ব্যক্তিগত ঘটনা, স্ট্রং মানসিকতার মোদি সামলে নেবেন।
গতকাল গুজরাতের মোতেরা স্টেডিয়ামে মাৰ্কিন প্ৰেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্ৰাম্প বলেছিলেন- ভারতে হিন্দু, মুসলিম খ্ৰিস্টান সব ধৰ্মাবলম্বীর মানুষ পাশাপাশি সাম্প্ৰদায়িক সম্প্ৰীতি রক্ষা করে বসবাস করে। মঙ্গলবারও দিল্লির অগ্নিগৰ্ভ পরিস্থিতির মধ্যেও সাংবাদিক সম্মেলনে ট্ৰাম্প বলেন- ভারতে ধৰ্মীয় স্বাধীনতা আছে। সব ধৰ্মের মানুষকে মোদি সম্মান দেন। বারবার দিল্লির হিংসার ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করা হলেও ট্ৰাম্প এগুলিকে ভারতের ব্যক্তিগত ঘটনা বলে মন্তব্য করেন। এই ঘটনাগুলি ভারতের ব্যক্তিগত ব্যাপার, সকলেই যাতে স্বাধীনতা পায় তা দেখছেন মোদি। ট্ৰাম্পের সঙ্গে আলোচনাকালে ভারতের প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি শান্তির প্ৰসঙ্গই বলে গেছেন। ‘কা’ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তাঁদের মধ্যে ইতিবাচক কথাবাৰ্তাই হয়েছে।আমেরিকাবাসী ভারতের জন্য গৰ্বিত। ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্ৰতিরক্ষা খাতে চুক্তি করে এদিন রাতে মঙ্গলবার রাতে মাৰ্কিন প্ৰেসিডেন্ট রাষ্ট্ৰপতি ভবনে রামনাথ কোবিন্দের আপ্যায়নের পর সুন্দর স্মৃতি নিয়ে ফিরে গেলেন। শাহিনবাগের আন্দোলনের উদ্দেশ্য সফল হল না। সম্মানীয় অতিথির উপস্থিতিতে ভারতের প্ৰধানমন্ত্ৰীর বদনাম করাই লক্ষ্য ছিল বলে ধারণা একাংশ পৰ্যবেক্ষক মহলের।
কোন মন্তব্য নেই