Header Ads

ট্রাম্পের অনুষ্ঠান থেকে কেজরিওয়ালকে বাদ দিয়েছে আমেরিকাই! কারণ জানাল মার্কিন দূতাবাস !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
 
সোমবার দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সফরের দ্বিতীয় দিনে তাঁর থাকার কথা দিল্লিতে। দিল্লিতে এসে এখানকার একটি স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে সময় কাটানোর কথা মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সঙ্গে থাকবেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি। এই অনুষ্ঠানে প্রথমে আমন্ত্রণ জানানো হলেও পরে আমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষা মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে।

প্রথমে এই বিষয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিল আম আদমি পার্টি। তবে পরে মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হয় যে এই তালিকা থেকে ওঁদের নাম বাদ দেওয়া হয় তাদেরই অনুরোধে।
দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া একসময় রাজধানীর বেশ কিছু বিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে 'হ্যাপিনেস ক্লাস' বা 'আনন্দের সঙ্গে পাঠ' চালু করেন। স্কুলছাত্রীদের মধ্যে থেকে স্ট্রেস কমানোর প্রয়াস হিসাবে বছর দুয়েক আগে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া হ্যাপিনেস ক্লাস নামের ওই পাঠক্রমটি চালু করেন। এই পাঠক্রমে ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত ৪০ মিনিট সময় ধরে ধ্যান এবং অন্যান্য ব্যায়াম ও খেলাধুলো করতে হয়। আর সেই ব্যবস্থাই নিজের চোখে দেখতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী।
সেই মতোই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার মেলানিয়া ট্রাম্প বিশেষ অতিথি হিসাবে দক্ষিণ দিল্লির একটি সরকারি বিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন। তিনি ঘণ্টাখানেক সময় ওই বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে ব্যয় করবেন। মার্কিন ফার্স্ট লেডির ইচ্ছা মতোই কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লিতে একটি স্কুল পরিদর্শনের আয়োজন করে। তবে যে সরকারের হাত ধরে এই ব্যবস্থা এল সেই সরকারের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়নি বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল।
পরে অবশ্য মার্কিন দূতাবাস জানায় যে অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক রঙ যাতে না থাকে সেই কারণেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষা মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে বাদ দেওয়া হয় অনুষ্ঠান থেকে। দূতাবাসের তরফে জানানো হয় যে এই স্কুল পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য শিক্ষার উপর নজর দেওয়া। তাই এটা নিয়ে রাজনীতি চায় না তারা।
মার্কিন দূতাবাসের এই বিবৃতির পর এই বিষয়ে মুখ খোলেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষা মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে দিল্লির সরকারী বিদ্যালয়ে মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে গ্রহণ করতে এবং তাকে ক্লাসরুমে ভ্রমণের সময় সঙ্গ দিতে ইচ্ছুক ছিলাম। আমাদের এই পদক্ষেপ কী ভাবে শিক্ষার্থীদের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সে সম্পর্কেও তাঁকে অবগত করতাম। যাইহোক, স্কুল পরিদর্শনের সময় ফার্স্ট লেডির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও ডেপুটি সিএম থাকা নিয়ে মার্কিন দূতাবাস কর্তৃক কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। আমরা এটাকে সম্মান জানাচ্ছি।'
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত হওয়া নির্বেচনে দিল্লির স্কুল নিয়ে কাদা মাখামাখি কম হয়নি দুই পক্ষের। যেখানে সরকারি স্কুলের উন্নয়নের কথা বলে ভোট চেয়েছেন কেজরিওয়াল। সেখানে বিজেপি বিশেষ স্টিং অপারেশন করে দিল্লির স্কুলের বেহাল দশা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত আবার বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে দিল্লির মসনদ দখল করেন কেজরিওয়াল। তবে রাজনৈতিক তরজা যে এখনও জারি তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.