প্রধানমন্ত্রী ‘মন কি বাতে’ জলে নয়, পাহাড়ের গহ্বরে বাস করা অদ্ভুত প্রজাতির মেঘালয়ের মাছের কথা, যাযাবর পাখিদের কথা বলে জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষনে জোর দেন
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি :
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদি আজ রবিবার আকাশবাণীতে ‘মন কি বাত’ শীর্ষক জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে দেশের জৈব বৈচিত্র
সংরক্ষণের উপর জোর দিয়ে মেঘালয়ের এক অদ্ভুত প্রজাতির মাছের কথা উল্লেখ করেন,
যে মাছ জলে থাকে না,
পাহাড়ের ভেতরে গহ্বরে
বসবাস করে, এই দুর্লভ
প্রজাতির মাছ সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন জল ছাড়া মাছ কি করে
বেঁচে থাকে? দেশের যাযাবর
পাখিদের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন
প্রান্তে 500 বেশি দে শান্তরী
পাখি আমাদের দেশে এসে কিছুদিন অতিথি
হিসাবে আসে, তাদের রক্ষা করা
আমাদের কর্তব্য, প্রধানমন্ত্রী জানান, যাযাবর পাখিদের
নিয়ে এক সম্মেলনের আহ্বান করা হবে। তিনি এই দেশের নারী শক্তির মহিমা তুলে ধরেন। 12 বছরের কাম্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, দক্ষিণ আমেরিকায় 7000 ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এক পাহাড়ের চূড়ায় উঠে
জাতীয় পতাকা তুলে ভারতকে গর্বিত করেছে। এই বয়সে ফিট থেকে দেশকে
অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বিহারের পূর্ণিয়ার মহিলাদের রেশম কীট উৎপাদনের কথা জানিয়ে
বলেন, এই কিট বিক্রি করে সংসার
চালাতে পারতো না। এখন নিজেরাই রেশম থেকে শাড়ি তৈরি করে, বিভিন্ন জায়গাতে স্টল দিয়ে বহু টাকা রোজকার
করছে, এই লাভজনক ব্যবসা
বহু গ্রামে ছড়িয়েছে। কেরলের এক গ্রামের 105 বছরের ভাগিরথী মা-র কথা জানিয়ে বলেন, আর্থিকভাবে অতি দরিদ্র এই মা এই বয়সে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শুরু করেছেন। এই ঘটনা
দেশের নারীদের অনুপ্রেরণা দেবে, শক্তি যোগাবে।
প্রধানমন্ত্রী মুরাদাবাদের প্রতিবন্ধী যুবক সলমনের কথা জানিয়ে বলেন, বেকার যুবক সলমন চপ্পল তৈরি শুরু করেন, বহু প্রতিবন্ধী, গরিব যুবক তার কাছে শিক্ষা নিয়ে চপ্পল বানানো শুরু করেছে, এখন 150 জোড়া করে চপ্পল তৈরি করছে। প্রধানমন্ত্রী
সূচনায় দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হস্তশিল্পী প্রদর্শনী হুনাহাটের অভিজ্ঞতার কথা
জানান, যেখানে বাঁশ,
কাঠ, পিতল, কাঁসা প্রভৃতি শিল্প, ছাড়াও ইডলি,
ধোসা, বিহারের লিটটির উল্লেখ করেন। বুম্বাইয়ের এই
হস্তশিল্প প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী সব প্রদেশের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন। পরিশেষে
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে শিবরাত্রির, আসন্ন হোলি বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা
জ্ঞাপন করেন।
কোন মন্তব্য নেই