অসম চুক্তির ছয় নম্বর দফা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার জন্য বিধায়ক পুরকায়স্থ দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন দাবি জানালেন
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসম চুক্তির ছয় নম্বর দফা বাস্তবায়নের সুপারিশ
সম্বলিত প্রতিবেদন গ্রহণ করেই মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল গতকালই নতুন দিল্লি
গেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে প্রাক্তন বিচারপতি বিপ্লব
কুমার শর্মার কাছ থেকে নেওয়া সিল কভারের গোপন প্রতিবেদনটি সমর্পন করবেন। আজ
কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষদে পুরোকায়স্থ দিসপুরে তার সরকারি বাসভবনে অসম চুক্তির ছয়
নম্বর দফা নিয়ে বিস্তারিত আলোচণার জন্য বিধানসভায় দু’দিন অধিবেশনের দাবি জানান। তিনি বলেন,
35 বছরের ঝুলে থাকা বিষয়ের
সঙ্গে বাঙালির ভাগ্য জড়িয়ে আছে। এই বিষয়টি নিয়ে হাইলেভেল কমিটি গঠন করা হল,
অথচ বাঙালির কোনো প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হল
না। জনপ্রতিনিধিদের মন্ত্রগুপ্তির শপথ নিয়ে বিধানসভায় যেতে হয়, জনগণের যে কোনো স্বার্থ সম্পর্কে কোনো বড়
প্রস্তাব গ্রহণ করতে হলে, বিধানসভায় তা অনুমোদন বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে।
বিধানসভায় বিস্তারিত আলোচনা হলে রাজ্যের সব জনগোষ্ঠীর মানুষ বিষয়টি জানতে পারবে এবং মতামত দিতে
পারবে। সিলকভারে একপক্ষভাবে সরকারের কয়েকজনের গ্রহণ করা খিলাঞ্জিয়া বা ভিত্তিবছর
সম্পর্কে প্রস্তাব সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিধানসভাকে এড়িয়ে, বাঙালি প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে, একপক্ষ প্রস্তাব তারা মানবে না বলে ঠারে ঠোরে
জানিয়ে দিলেন উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক পুরকায়স্থ। তিনি বরাক উপত্যকার
প্রসঙ্গ তুলে বলেন, করিমগঞ্জ অখণ্ড
ভারতের অংশ, তারা যেখানে
স্বাধীনতার আগে থেকে বসবাস করত, এখনও সেখানেই আছে,
তারা সবাই ভারতের
ভূমিপুত্র, খিলাঞ্জিয়া, অথচ তাদেরকে নাগরিকত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত
করার চক্রান্ত চলেছে। তা বরাকবাসী কোনোভাবেই মেনে নেবে না। বিধায়ক ওন প্রায়োরিটি
ডেভেলপমেন্ট বা এস ও পি ডি প্রকল্প নিয়ে বলেন, এই প্রকল্প রূপায়ণে সরকার বিজেপি বিধায়কদের
কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে 20 কোটি টাকা
বরাদ্দ করা হয়েছে, অথচ কংগ্রেস বিধায়কদের
কেন্দ্রে 10 কোটি টাকা
বরাদ্দ করার নির্দেশ এসেছে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে কংগ্রেস আসন্ন বিধানসভায়
প্রতিবাদ করবে বলে জানান। বলেন বিশিষ্ট সিনেমা পরিচালক জানহু বরুয়াকে রাজ্যসভায়
পাঠানোর জন্য দলে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে মাত্র, কে প্রার্থী হবে
এখনও চূড়ান্ত হয় নি।
কোন মন্তব্য নেই