Header Ads

অসমের দুটি কাগজকলকে ঘিরে সরকারের চরম উদাসীনতা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ...



নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, পাঁচগ্ৰাম : সম্প্রতি, অসমের দুটি কাগজকলকে ঘিরে সরকারের চরম উদাসীনতা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে জনমনে। তাদের কথায়,  শুধু মুখে মুখেই ' সব কা সাথ, সবকা বিকাশ'। শুধু প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। কিন্তু তার বাস্তবায়ন হচ্ছে কই?  আজও সেই পুরনো শাসকগোষ্ঠীর মতো রাজনৈতিক সুবিধার্থে বৈষম্যতার যাঁতাকলে পড়ে প্রহসনের দিন গুজরান করতে হচ্ছে পরিশ্রমী দিনমজুরদের। উল্লেখ্য, একসময় কাছাড় কাগজকলের অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীদের আর্তনাদে সরগরম হয়ে উঠেছিল কাগজকলে্র পুরাতন বাজার এলাকা। "অসম সরকারের বৈষম্যতা মানছি না, মানব না, "বিজেপি সরকারের সব কা সাথ-সবকা বিকাশ কাহা গেয়া?" এইসব শ্লোগানে মুখরিত হয়েছিল গোটা এলাকা। কাগজকলের অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার আর্থিক অনুদান (স্কলারশিপ) দিতে হবে, শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে, করতে হবে ইত্যাদি শ্লোগানে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল গোটা এলাকায়।  জানা গেছে, সম্প্রতি,  কাছাড় ও নগাঁও কাগজকলের স্থায়ী কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য স্কলারশিপের মাধ্যমে অসম সরকারের তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। কিন্তু বাদ পড়লেন কাগজকল দুটির সাথে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যুক্ত থাকা শ্রমিক কর্মচারীরা। এ নিয়ে প্রায় শতাধিক কর্মচারী ও তাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা সম্মিলিত ভাবে বিক্ষোভ ও ধর্ণা প্রদর্শন করে সরকারের এই বৈমাতৃসুলভ আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন। তাছাড়া, কর্মচারীদের নেই কোনো পিএফ, গ্র্যাচুইটি, বকেয়া বেতন,  না আছে তাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের জন্য স্কলারশিপ। তাই সরকারের এই বঞ্চনার প্রতিবাদে তারা আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান। এদিনের প্রতিবাদ কার্যসূচিতে সামিল ছিলেন শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সুবোধ দাসগুপ্ত, গোবিন্দ চক্রবর্তী, জনার্ধন চক্রবর্তী, শ্যামল পাল, রাধিকা দাস, নীলকান্ত চক্রবর্তী, হরমোহন দাস, প্রদীপ চৌধুরী সহ স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে ছিলেন লিপা দাস, অনামিকা পাল, নিলম চক্রবর্তী, পূজা ঘোষ সহ আরও অনেক পড়ুয়ারা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.