বিজেপি হাগ্রামার বিপিএফ নয়, এবার প্রমোদের ইউপিপিএল-এর হাত ধরবে, তার পূর্বাভাস স্পষ্ট হচ্ছে ক্রমশ
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : বড়ো ভূমির রাজনৈতিক সমীকরণ দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, 1993, 2003 তারপর 2020-র বড়ো শান্তি
চুক্তির ফলে বড়ো সংগঠনগুলো তাদের আগের স্থিতি ধরে রাখতে পারছে না। 15 বছর বিটিসির একছত্র অধিপতি তথা বিটিস প্রধান
হাগ্রামা মহিলারীর কমান্ড আজ দুর্বল, তার নেতৃত্ব আবসু, এন ডি এফ বি-র
চার গোষ্ঠী আর মানতে চাইছে না। হাগ্রামা মহিলারী দিল্লিতে গিয়ে নতুন বড়ো শান্তি
চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেন, এখন বলছেন,
নবগঠিত বড়োল্যান্ড
টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন বা বি টি আর বড়োদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে পারবে না, সংবিধান সংশোধন
ব্যাতিত তা বাস্তিবায়িত হবে না। যার উদ্যোগে এন ডি এফ বি স্বাধীন বড়ো ভূমির দাবি
ছেড়ে, অস্ত্র পরিত্যাগ করে ফিরে
এসে রাজনীতির অঙ্গনে পা দিল, নতুন রাজনৈতিক দল
গঠনের তোড়জোর করছে, সেই 17 বছর থেকে নেতৃত্ব নেওয়া আবসুর সভাপতি প্রমোদ বড়োকে কথায় কথায় আক্রমণ করছেন
হাগ্রামা মহিলারী, তিনি আজও অভিযোগ
করেন প্রমোদ চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ তুলছে। প্রমোদ ও হাগ্রামাকে দুর্নীতি পরায়ণ
বলে অভিযোগ করে চলেছেন। হাগ্রামার বড় অভিযোগ বি টি আর কি জিনিস তিনি জানেন না, চুক্তি সম্পর্কে অন্ধকারে
রাখা হয়। প্রমোদের পাল্টা অভিযোগ তবে হাগ্রামা
কেন মুখ্যমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লি গেলেন। বিজেপির এক সূত্র জানান,
এই মুহুর্তে বড়ো রাজনীতিতে
প্রধান পুরুষ প্রমোদ বড়ো, তারা নতুন
রাজনৈতিক দলের জন্ম দেবে, এন ডি এফ বি-র
চার গোষ্ঠী সঙ্গে থাকবে। সেই দলের সঙ্গে বিজেপি সমঝোতা করবে। আজ উজান অসমে বিজেপি
সভাপতি রঞ্জিত দাস বড়োল্যান্ডে নতুন দলের
জন্যে তাদের দরজা খোলা থাকবে। আবসু পুরানো দল ইউ পি পি এল কে নতুন করে পুনর্গঠন
করে বি টি সি-র নিবার্চনে লড়বে, ঊর্খাও গৌরা
ব্রহ্ম এই দলটি গড়ে ছিলেন। পরিস্থিতি প্রতিকূল, তার পালের হাওয়া
কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, জানার পরও হাগ্রামা মহিলারী আগামী বিটিসি নির্বাচনে
দাঁড়াবার জন্যে 16 জন প্রার্থীর
নাম ঘোষণা করে দিলেন। অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিটিসি গঠনে প্রধান ভূমিকা
গ্রহণ করে ছিলেন, হাগ্রামাকে ফ্রন্ট লাইনে এনে গুরুত্ব বাড়িয়ে
দিয়েছিলেন, সেই হিমন্ত এবার আবসু প্রধান প্রমোদকে পাশে
রেখে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে, এন ডি এফ বি-র
মতো জঙ্গি সংগঠনের সাহায্য নিয়ে বিজেপি-র প্রভাব বাড়াতে চাইছেন, ইদানিং হাগ্রামা নিজের খুশিমত চলছিলেন, তিনি চাইছিলেন না
শক্তিশালী কোনো বিকল্প গড়ে উঠুক, তাই তাকে দুর্বল করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। এই
সব খেলার রিমোট কন্ট্রোল হাতে আছে রাজ্যের সেকেন্ড কমান্ডার ইন চিফ হিমন্তবিশ্ব
শর্মা।
কোন মন্তব্য নেই