বিহাড়া সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে বার্ষিক উৎসব সম্পন্ন
নয়াঠাহর প্রতিবেদন, বিহাড়াঃ বিহাড়ার খ্যাতীসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে বিদ্যালয়ের বার্ষিক উৎসব সম্পন্ন হল
সোমবার। 17 ফেব্রুয়ারি
বিদ্যালয়ের স্থাপনা দিবসকে কেন্দ্র করে চারদিন ব্যপী চলে এই অনুষ্ঠান। গত 14
ফেব্রুয়ারি প্রদীপ
প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করেন ড. রাজকিশোর ঘাটুয়ার। প্রথমে পুলয়ামায়
নিহত সহীদ জওয়ানদের শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করা হয়। পরে তিন দিন ব্যপী চলে ছোটদের
স্মৃতির খেলা, অংক দৌড়,
বসে আঁকো প্রতিযোগীতা,
বড়োদের হাইজাম্প,
লংজাম্প, শটপুট, ডিসকাস থ্রো সহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা। সোমবার অনুষ্ঠানের অন্তিম দিনে
বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করে বার্ষিক উৎসবের সমাপন সমারোহের শুভারম্ভ করেন
বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হিমাদ্রী নাগ। এদিন
প্রদীপ প্রজ্বলন করেন শিলচরের বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি
বিপ্লব দেবনাথ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশিত হয় সরস্বতী বন্দনা। পরে আগত অতিথিদের
উত্তরীয় ও চন্দন দিয়ে বরণ করেন বিদ্যালয়ের আচার্যা অপর্ণা শুক্লবৈদ্য।
অনুষ্ঠানে
উপস্থিত অন্য অতিথিরা ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রচারক ড. রাজকিশোর
ঘাটুয়ার, সেবিকা সমিতির
প্রচারিকা জ্ঞান্তি কৈরী, শিক্ষাবিদ
রামেন্দ্র ধর, নিখীল দেব,
হাসী রাণী চক্রবর্তী,
সমাজসেবী মণোজিৎ গোস্বামী
প্রমুখ। অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন বিদ্যালয়ের উপপ্রধান আচার্য রণেশ্বর
চক্রবর্তী। প্রধান অতিথির ভাষণে বিপ্লব দেবনাথ বিদ্যাভারতীর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেণ।
তিনি জানান, উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরে সর্ব প্রথম প্রয়াত কৃষ্ণচন্দ্র গান্ধী
সরস্বতী শিশু মন্দিরের স্থাপনা করেন। যা পরবর্তীতে সমগ্র দেশে ছরিয়ে পড়ে।
বর্তমানে বিদ্যাভারতীর মাধ্যমে বিভিন্ন নামে প্রায় তেত্রিশ হাজার বিদ্যালয় চলছে
বলে জানান তিনি। শিক্ষাবিদ রামেন্দ্র ধর বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কঠোর
পরিশ্রমের জন্য তাদের ভূয়সী প্রসংসা করেন। তিনি বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর
শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন। সংঘ প্রচারক ড. রাজকিশোর ঘাটুয়ার শিক্ষার্থীদের নৈতিক
শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পরে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের দিয়ে পরিবেশিত হয়
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রদর্শিত হয় বিষ্ণুপ্রিয়া নৃত্য, ধামাইল নৃত্য, বিহু নৃত্য, ঝুমুর নৃত্য সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঝলক। পরে
অনুষ্ঠানের পুরষ্কার বিতরণী সভায় তিনদিন থেকে চলা বিভিন্ন প্রতিযোগীতার প্রথম,
দ্বিতীয় ও তৃতীয়
স্থানাধিকারীদের পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়াও বিদ্যালয়ে সর্বোচ্চো উপস্থিতি ও
শ্রেণীতে সর্বোচ্চো স্থানাধিকারীদের হাতেও পুরষ্কৃার তোলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।
অনুষ্ঠানের শেষে সভাপতির ভাষণের পর রাষ্ট্রগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
কোন মন্তব্য নেই