Header Ads

কৃষ্ণা বসুর জীবনাবসান !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক কৃষ্ণা বসুর জীবনাবসান। শনিবার সকালে বাইপাসের একটি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় তাঁর। মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন তাঁর ছুই পুত্র সুগত ও সুমন্ত্র। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এদিন সকাল ১০.২০-তে ৮৯ বছর বয়সে তাঁর জীবনাবসান হয়।

দেহ দুপুর ১ টা নাগাদ নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। রাত আটটা
পর্যন্ত নেতাজী ভবনে তাঁর দেহ রাখা হয়েছে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য। রাত আটটায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবছর আগে তাঁর স্ট্রোক হয়েছিল। এছাড়াও হৃদযন্ত্রের সমস্যাও ছিল। দিন কয়েক আগে এই হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়েই তাঁকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে দুই কৃতি সন্তান হার্ভাডের গবেষক সুগত বসু এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিক্সের অধ্যাপক সুমন্ত বসু কলকাতায় চলে এসেছিলেন। তাঁর আরেক সন্তানের নাম শর্মিলা বসু।
১৯০৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর তাঁর জন্ম ঢাকায়। বাবা ছিলেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ চারুচন্দ্র চৌধুরী। ৪০ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছেন সিটি কলেজে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর হয়েছিলেন তিনি। আট বছর সিটি কলেজের অধ্যক্ষার দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।
উত্তর প্রদেশের লখনৌ-এর ভাতখাণ্ডে মিউজিক ইনস্টিটিউট থেকে সঙ্গীত বিশারদ ডিগ্রি পেয়েছিলেন।
নেতাজির ভাইপো শিশু চিকিৎসক শিশির কুমার বসুর সহধর্মিনী ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে পরপর তিনবার যাদবপুর থেকে লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। সাংসদ থাকার সময়ে বিদেশমন্ত্রকের কমিটির চেয়ারপার্সনও ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.