Home
/
রাজ্য-রাজনীতি
/
৭ কোটি টাকার আৰ্থিক কেলেঙ্কারি ,শক্তিপীঠ কামাখ্যায় সিআইডির ব্যাপক তল্লাশী অভিযান
৭ কোটি টাকার আৰ্থিক কেলেঙ্কারি ,শক্তিপীঠ কামাখ্যায় সিআইডির ব্যাপক তল্লাশী অভিযান
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন:
বিশ্ব বিখ্যাত শক্তিপীঠ কামাখ্যা ধামে সিআইডির একটি টীম ব্যাপক অভিযান চালায়। কামাখ্যার দেবোত্তর বোর্ডের সাথে জড়িত বেশ কয়েকজন লোকের বাড়িতে চলে তল্লাশী অভিযান। বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয় এই অভিযান । দেবোত্তর বোর্ডের ৭ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৪৯৮ টাকার আৰ্থিক কেলেঙ্কারি সম্পর্কে সুপ্ৰিম কোৰ্ট সিআইডি বিভাগকে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিল এর পরই এই অভিযান চালায় সিআইডির এক বৃহৎ দল। কামাখ্যার বুবুল শর্মা,জগদীশ ভাণ্ডার কায়েস, ধীরাজ শর্মা, শৈলেশ শর্মা, অবিনাশ শর্মা প্ৰমুখদের বাড়িতে গিয়ে ব্যাপক তল্লাশী অভিযান চলায় দলটি। এর আগে কামাখ্যার রিজু শর্মা,নবকান্ত শর্মা, প্রণব শর্মার বাড়িতে চলে তল্লাশী অভিযান। কামাখ্যা দেবালয়ের এক বৃহৎ আৰ্থিক কেলেঙ্কারিতে দেবোত্তর পরিচালনা সমিতির সম্পাদক রিজু শর্মার নাম জড়ায়।
উল্লেখ্য, যে কামাখ্যাতে বৃহৎ এই আৰ্থিক কেলেঙ্কারী সম্পর্কে ইতিপূর্বে আদালতে এক মামলা রুজু করা হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতে সুপ্ৰিম কোৰ্ট বছর দুয়েক আগে দেবোত্তর বোর্ড আর দেবালয় পরিচালনা সমিতি ভেঙে জেলা উপায়ুক্ত অধ্যক্ষ্যতাতে কামাখ্যা দেবালয় পরিচালনা সমিতিকে পরিচালনার দায়িত্বভার দেওয়া হয়। এর সাথে দেবোত্তর বোর্ডকে তাদের কাছে রাখা সমস্ত টাকা-পয়সা, সোনা-রূপার অলঙ্কার ,স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সমস্ত হিসাব জেলা উপযুক্তর দ্বারা পরিচালিত হওয়া বর্তমান কমিটির হাতে অর্পণ করার নির্দেশ ও দেয় সৰ্বোচ্চ আদালত। কিন্তু দেবোত্তর বোর্ড ব্যাংকের পাসবুক তথা সম্পত্তির কিছু তথ্য উপায়ুক্তকে জমা করে বাকি টাকা পয়সাও সোনার অলংকারসহ অনেক কিছু জমা না করায় পুনরায় বর্তমান কামাখ্যা দেবালয় পরিচালনা সমিতি সুপ্ৰিম কোৰ্টে আদালত অবমাননার অন্য একটা মামলা রুজু করতে বাধ্য হয়। এই মামলার ভিত্তিতে এবার সুপ্ৰিম কোৰ্ট রাজ্য সরকারের তদন্তকারী সংস্থার দ্বারা অতি শীগ্রই তদন্ত করে তিন মাসের ভিতরে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের ভিত্তিতে বুধবার রাজ্য সরকার অপরাধ-অনুসন্ধান শাখা ও দুর্নীতি নিবারক শাখার যুগ্ম ভাবে ব্যাপক অভিযান চালায় দেবোত্তর বোর্ডের সাথে জড়িত লোকেদের ঘরে।
উল্লেখ্য যে কামাখ্যা দেবালয়ের উন্নয়নের নামে প্রদান করা ধন-সম্পত্তির সাথে ভক্তদের দ্বারা প্রদান করা সোনা রূপোর গয়না, টাকা-পয়সা ইত্যাদি সমেত সংগৃহীত সাত কোটির ও বেশী টাকার আৰ্থিক কেলেঙ্কারী এই দেবোত্তর বোর্ডের দ্বারা সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওদিকে তল্লাশী অভিযান চালানোর সময় ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করে রিজু শর্মা । বর্তমানে পলাতক রিজু । তাকে খুঁজে পাননি সিআইডি-র অফিসাররা। সিআইডির দল ভবিষ্যতেও তল্লাশী অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই