প্রসঙ্গ : ভাষা দিবস ও কেলোয়াতি কটাক্ষ !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
আজ একুশে ফেব্রুয়ারি--আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। খুব সঙ্গত কারণেই এই ঐতিহাসিক দিনটিতে মাতৃভাষাকে সম্মান জানাতে যারা শিখেছে তারা দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণের পাশাপাশি ইতিহাস অনুসন্ধানে একদিনের জন্যে হলেও সচেষ্ট হয়। বিশেষ দিন বিশেষ মুহূর্ত চিহ্নিত হয় তার তাৎক্ষণিক আলোড়ন তোলা ঘটনা’র কারণেই--যাকে ৩৬৫ দিনের আহার-নিদ্রা-মৈথুন-মলমূত্র ত্যাগের মতোই প্রাত্যহিক বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টাটা শুধু হাস্যকরই নয়--প্রচণ্ড মুর্খামিও বটে।
বিশেষ বিশেষ দিনে কিছু কিছু কেলোয়াত আঁতেল নানাভাবে দিনটির গুরুত্ব ও মর্যাদাকে খাটো করার চেষ্টায় প্রায় অশ্লীল বাচালতায় মুখর হয়ে ওঠেন কেন বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
যেমন--আজকের ভাষাদিবস নিয়ে এই ধরণের বেশ কিছু অশালীন কেলোয়াতি অাঁতলেমি চোখে পড়ছে। তাদের অনেকেরই প্রশ্ন--৩৬৪ দিন বাদ দিয়ে একদিনের জন্যে এই আদিখ্যেতা বা ভাষা প্রেমে ডগমগ হওয়া কেন? যারা এই ধরণের অশালীন কটাক্ষ করে নিজেদের উচ্চমার্গীয় ভাষাবিাদ-কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকবোদ্ধা হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করতে চান তাদের একজনও কিন্তু ৩৬৫ দিন তাদের প্রয়াত পিতা-মাতার শোক পালন করেন না--জীবিত মা-বাবাকে প্রতিদিন পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে ৩৬৫ দিনের কর্তব্য পালনের দৃষ্টান্ত সামনে রাখেন না। নিজের সন্তানদের সিবিএসসি বা ঐ জাতীয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করতে পাঠান। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় যারা বসতে চলেছে তাদের সংখ্যার দিকে তাকালেই বোঝা যাবে কেন এবারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৩ হাজার কমে গেল--এই কমে যাওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে।
যারা পাঁচ লাইনের বাক্য রচনায় বা উচ্চরণে ৫০টি ইংরেজি শব্দ ব্যবহারে অভ্যস্ত তারাই মাতৃভাষা দিবস নিয়ে হাস্য পরিহাস করবেন কটাক্ষ করবেন--এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই অবশ্য !
বিশেষ বিশেষ দিন ক্ষণ পালন করা নিয়ে মশকরায় অভ্যস্ত অাঁতেলরা ৩৬৫ দিন রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করেন কিনা--৩৬৫ দিন দুর্গা পুজো করেন কিনা--৩৬৫ দিন প্রিয় নেতা-নেত্রীর জন্মদিন পালন করে কেক কাটেন কিনা আমার জানা নেই। আসলে এরা প্রকৃতপক্ষে কিছুই করেন না--হাস্যকর অাঁতলেমির মাধ্যমে নিজেদের কেলোয়াতি প্রকাশের চেষ্টা করেন--এই চেষ্টার অভ্যাস যে মানুষকে স্থূল বিদূষকে পরিণত করে--সেই বোধটাও এদের দ্রুত হারিয়ে যায়।
আপনাদের যাদের মাতৃভাষা নিয়ে ‘আদিখ্যেতা’ পছন্দ নয়--পীড়া বোধ করেন তাদের জন্যে তো আমোদ প্রমোদের অসংখ্য দরজা খোলা রয়েছে--এইসব বিশেষ দিন ক্ষণে ওস্তাদি না করে সেদিকেই মেতে থাকতে তো কেউ বাধা দিচ্ছে না ! অসহ্য লাগে এইসব নেকু নেকু কথাবার্তা। সে যাইহোক--ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আহত করার জন্যে এ লেখা নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত বিরক্তির প্রকাশ মাত্র !
আজ একুশে ফেব্রুয়ারি--আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। খুব সঙ্গত কারণেই এই ঐতিহাসিক দিনটিতে মাতৃভাষাকে সম্মান জানাতে যারা শিখেছে তারা দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণের পাশাপাশি ইতিহাস অনুসন্ধানে একদিনের জন্যে হলেও সচেষ্ট হয়। বিশেষ দিন বিশেষ মুহূর্ত চিহ্নিত হয় তার তাৎক্ষণিক আলোড়ন তোলা ঘটনা’র কারণেই--যাকে ৩৬৫ দিনের আহার-নিদ্রা-মৈথুন-মলমূত্র ত্যাগের মতোই প্রাত্যহিক বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টাটা শুধু হাস্যকরই নয়--প্রচণ্ড মুর্খামিও বটে।
বিশেষ বিশেষ দিনে কিছু কিছু কেলোয়াত আঁতেল নানাভাবে দিনটির গুরুত্ব ও মর্যাদাকে খাটো করার চেষ্টায় প্রায় অশ্লীল বাচালতায় মুখর হয়ে ওঠেন কেন বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
যেমন--আজকের ভাষাদিবস নিয়ে এই ধরণের বেশ কিছু অশালীন কেলোয়াতি অাঁতলেমি চোখে পড়ছে। তাদের অনেকেরই প্রশ্ন--৩৬৪ দিন বাদ দিয়ে একদিনের জন্যে এই আদিখ্যেতা বা ভাষা প্রেমে ডগমগ হওয়া কেন? যারা এই ধরণের অশালীন কটাক্ষ করে নিজেদের উচ্চমার্গীয় ভাষাবিাদ-কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকবোদ্ধা হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করতে চান তাদের একজনও কিন্তু ৩৬৫ দিন তাদের প্রয়াত পিতা-মাতার শোক পালন করেন না--জীবিত মা-বাবাকে প্রতিদিন পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে ৩৬৫ দিনের কর্তব্য পালনের দৃষ্টান্ত সামনে রাখেন না। নিজের সন্তানদের সিবিএসসি বা ঐ জাতীয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করতে পাঠান। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় যারা বসতে চলেছে তাদের সংখ্যার দিকে তাকালেই বোঝা যাবে কেন এবারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৩ হাজার কমে গেল--এই কমে যাওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে।
যারা পাঁচ লাইনের বাক্য রচনায় বা উচ্চরণে ৫০টি ইংরেজি শব্দ ব্যবহারে অভ্যস্ত তারাই মাতৃভাষা দিবস নিয়ে হাস্য পরিহাস করবেন কটাক্ষ করবেন--এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই অবশ্য !
বিশেষ বিশেষ দিন ক্ষণ পালন করা নিয়ে মশকরায় অভ্যস্ত অাঁতেলরা ৩৬৫ দিন রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করেন কিনা--৩৬৫ দিন দুর্গা পুজো করেন কিনা--৩৬৫ দিন প্রিয় নেতা-নেত্রীর জন্মদিন পালন করে কেক কাটেন কিনা আমার জানা নেই। আসলে এরা প্রকৃতপক্ষে কিছুই করেন না--হাস্যকর অাঁতলেমির মাধ্যমে নিজেদের কেলোয়াতি প্রকাশের চেষ্টা করেন--এই চেষ্টার অভ্যাস যে মানুষকে স্থূল বিদূষকে পরিণত করে--সেই বোধটাও এদের দ্রুত হারিয়ে যায়।
আপনাদের যাদের মাতৃভাষা নিয়ে ‘আদিখ্যেতা’ পছন্দ নয়--পীড়া বোধ করেন তাদের জন্যে তো আমোদ প্রমোদের অসংখ্য দরজা খোলা রয়েছে--এইসব বিশেষ দিন ক্ষণে ওস্তাদি না করে সেদিকেই মেতে থাকতে তো কেউ বাধা দিচ্ছে না ! অসহ্য লাগে এইসব নেকু নেকু কথাবার্তা। সে যাইহোক--ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আহত করার জন্যে এ লেখা নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত বিরক্তির প্রকাশ মাত্র !
কোন মন্তব্য নেই