4 মার্চ বাজেট ভাষণে প্রকৃত উন্নয়নের ছবি তুলে ধরতে পারবে কি অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, তা নিয়ে সব মহলে সন্দেহ দানা বাঁধছে
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : গত 13 জানুয়ারি চতুদর্শ অসম বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে রাজ্যপাল জগদীশ মুখী রাজ্যের বিভিন্ন
বিভাগের উন্নয়নের নানা উজ্জ্বল ছবি তুলে ধরে ছিলেন, কিন্তু আর্থিক বিকাশের, সরকারের আয়ের কোনো উৎস, উন্নয়নমূলক
প্রকল্পের বাজেট নিয়ে রাজ্যপাল কোনও উৎসাহজনক তথ্য দিতে পারেননি। এই বিষয়টি বাজেট অধিবেশনের জন্যে তুলে রাখেন,
তপশীল জাতি উপজাতির আরো 10 বছরের জন্যে আসন সংরক্ষণের লক্ষ্যে নতুন বিলটি
অনুমোদনের উদ্দেশ্যে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসেছিল এক দিনের জন্যে, মার্চ, এপ্রিলের
বাজেট নিয়ে আলোকপাত করার এক্তিয়ার তার ছিল না। তাই আগামী 4 মার্চ বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব
শর্মা 2020-21 অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন। 2 মার্চ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে, চলবে
27 মার্চ পর্যন্ত। 2 মার্চ রাজ্যপালের
বাজেট ভাষণ দিয়ে অধিবেশনের সূচনা হবে না। আজ বিধানসভায় প্রধান সচিব মৃগেন্দ্র
কুমার ডেকা বাজেট অধিবেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানান। 2 মার্চ প্রশ্ন পর্ব
দিয়ে বাজেট অধিবেসনের সূচনা হবে। তারপর অর্ধ্যক্ষ হিতেন্দ্র নাথ গোস্বামী বিজনেস
এডভাইসরি কমিটির প্রতিবেদন পাঠ করবেন এবং বিধানসভা পরিচালনার জন্যে সব দলের
বিধায়কদের মধ্যে থেকে চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করবেন। 4 মার্চ বাজেট দাখিল করবেন অর্থমন্ত্রী। গত 13 জানুয়ারি রাজ্যপাল জগদীশ মুখী 80 পৃষ্ঠার ভাষণের শেষ দু-লাইন এ দাবি করেছিলেন,
অসম দেশের মধ্যে শীর্ষ
স্থানে থাকবে, সবদিকে সফলতা লাভ
করবে। কিন্তু অর্থবিভাগের নানা সূত্র জানিয়েছে, তাতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। গত বাজেটে
অর্থমন্ত্রী শর্মা, 98 339, 05 কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছিলেন,
এই প্রস্তাব অনুযায়ী 34
,95 ভাগ টাকা কেন্দ্রীয়
সরকারের কাছ থেকে পাওয়ার কথা। আগামী 31 মার্চ অর্থবছর শেষ হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক মাত্র 40 ভাগ টাকা দিয়েছে। আগের বাজেটেও একই অবস্থা
হয়েছিল কেন্দ্র রাজ্যের পাওনা টাকা দেয়নি। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের অধীন হিতাকারীদের
দেবার কোটি কোটি টাকা ব্যাংকের তহবিলে রেভিনিউ খাতে জমা আছে,, নানা জটিলতায় তা আটকে
আছে। বিগত বাজেটগুলোতে মোট বাজেটের 25, 30 ভাগ টাকা খরচা করা যায়নি, এবার খরচা করতে
না পারার টাকার পরিমাণ বহুগুণ বাড়বে তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই।
কোন মন্তব্য নেই