আবার 1 টাকা 60 পয়সা প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রস্তাব, ট্রান্সমিশন লোকসান বন্ধ হচ্ছে না
অমল গুপ্ত : শিল্প বিনিয়োগের অন্যতম উপাদান বিদ্যুত,
বিদ্যুৎ ছাড়া শিল্প
উদ্যোগের বিকাশ হয় না, অসমে বিশ্ব শিল্প
বিনিয়োগ সন্মেলন হয়েছে, প্রায় 50 হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে।
বিগত 15 বছর কংগ্রেস
জমানা, বর্তমান বিজেপির
প্রায় 4 বছরেরশাসন,
নিজস্ব বিদ্যুত উৎপাদন
কোথায়? বিদ্যুতের
ট্রান্সমিশন, ডিস্ট্রিবিউশন লস
বেড়েই চলেছে, হুকিং করে বিদ্যুৎ
চুরি সব মিলিয়ে প্রায় 26 শতাংশ লোকসান
হচ্ছে, সরকারি সূত্রে
একথা জানা গেছে। তারপর সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সন্থা সহ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে
রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের কোটি কোটি টাকা পাওনা আছে, অথচ রাজ্যের গরিব,
মধ্যবিত্তের ঘাড়ে আরো
বিদ্যুৎ মাশুল চাপানোর সব চেষ্টা শুরু হয়েছে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ 1 টাকা 60 পয়সা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে বিদ্যুৎ নিয়ামক
কমিশন। বর্তমান প্রতি ইউনিট 7 টাকা 25 পয়সা দিতে হয় গ্রহকদের, প্রস্তাব কার্যকর হলে 8 টাকা 85 পয়সার বোঝা চাপানো হবে। একইভাবে এল টি গ্রুপে 5 কিলোওয়াট থেকে 25 কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যাবহার করা ব্যবসায়ীদের
জন্যে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ-এর মাশুল 1
টাকা 85 পয়সা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গত 19 ফেব্রুয়ারি নিয়ামক কমিশনের শুনানিতে কনজিওমার
লিগ্যাল ফোরাম মাশুল বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, বিদ্যুৎ বিভাগ প্রতি বছর লোকসানের অজুহাত দিয়ে
মাশুল বাড়িয়ে যায়। বন্ধ, রুগ্ন বিদ্যুৎ
প্রকল্পগুলি সংস্কারের ব্যবস্থা করছে। নিজের বিদ্যুৎ উৎপাদন নেই বললেই চলে,
বেশি টাকা দিয়ে ন্যাশনাল
গ্রিড থেকে, বা অন্য রাজ্য
থেকে বিদ্যুৎ কিনে সরকার চলেছে। শুনানিতে এবি টা, ফাইনার, অসম প্ল্যান্টার এসোসিয়েশন প্রভৃতি সংস্থার
প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। গত 13 জানুয়ারি
একদিনের বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে রাজ্যপাল জগদীশ মুখী রাজ্যের বিদ্যুৎ চিত্র তুলে
ধরে বলেন, এ পি জী সি এল
মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে 380 মেগাওয়াট,
তাছাড়া, নামরূপ রিপ্লেসমেন্ট প্ল্যান্ট 100 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পূর্ণ হওয়ার পথে।
কার্বি আংলং 13 মেগাওয়াটর
মিন্টরিয়াং ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। কপিলি জল বিদ্যুৎ
প্রকল্পের 120 মেগাওয়াট,
এবং আমগুড়িতে 70 মেগাওয়াট সৌর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী
বছর শেষ হবে।
কোন মন্তব্য নেই