একাদশ ভাষা শহিদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি
শুভসুন্দর দেব চৌধুরী, ব্যাঙ্গালুরু: সুদূর দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকে বসে একাদশ ভাষা শহিদের বলিদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমরা বাঙালি, আর বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। আমার গর্ভধারিনীই মা শব্দটিকে অকুতভয়ে উচ্চারণ করতে শিখিয়েছেন । পরাধীন ভারতকে ব্রিটিশের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য বাঙালি শহিদের অবদান ভারতবর্ষের ইতিহাসে আজও স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। একাদশ ভাষা শহিদের বলিদানের কথাও ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সনটা ছিল ১৯৬১। দিনটি ছিল আজকের ১৯ শে মে। শিলচর রেল স্টেশনে এগারোজন ভাষা সেনানীর তাজা প্রাণ নিয়েছিল তৎকালীন অসম সরকার। সেইদিনের আন্দোলনের কথা কখনো বিস্মৃত হওয়ার নয়। এক গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমনের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল সেদিনের সরকার। সরকারতন্ত্র ভুলে গেছিলো - বাঙালির মাতৃভাষা বাংলা। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় যারা বুলেটের সামনে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন সেই সংগ্রামী ভাই বোনের আত্মত্যাগ আমরা আজও ভুলিনি। আগামী প্রজন্মও ভুলবে না। আজকের এ পুন্য তিথিতে আমরা এক অঙ্গীকার করি - আমাদের মাতৃভাষার মর্য্যাদা রাখার জন্য যারা প্রাণ আহুতি দিয়েছিলেন সেই বীর সেনানীদের আত্মবলিদান আমরা বৃথা যেতে দেব না আগামী দিনেও। আমরাও মাতৃভাষার মর্য্যাদা রক্ষা করবো। আমাদের কবিতার ভাষা বাংলা, গানের ভাষা বাংলা, ভালোবাসার ভাষা বাংলা। আমাদের প্রতিবাদের ভাষাও তাই বাংলা। আমরা হৃদয়ে, মননে, ভাবনায় ও কলমে মাতৃভাষাকে জাগ্রত করে রাখবো - এ আমাদের আজকের দিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি ও অঙ্গীকার।
কোন মন্তব্য নেই