সংখ্যালঘু মানুষদের অসুবিধা হতেই পারে, এই সরল স্বীকারোক্তি এনআরসি-র সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলার
গুয়াহাটিঃ জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে রাজ্যের হিন্দু মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে হয়রানি করার ধারাবাহিকতা অব্যাহত। রাজ্যে আসু, আবসু প্ৰভৃতি সংগঠন হিন্দু, মুসলিম বাঙালিদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ আপত্তি দৰ্শিয়েছে বলে সাড়া আসাম বাঙালি যুব ছাত্ৰ ফেডারেশন, আমসু বিভিন্ন সময় অভিযোগ দাখিল করেছে। আসু অবশ্যে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আপত্তিকারীরা উপস্থিত না থাকলেও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের নথি পত্ৰও পরীক্ষা করছে এবং চুড়ান্ত হয়রানিও করা হচ্ছে। এনআরসি-র সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা আজ এক প্ৰতিনিধি দলকে জানিয়েছেন ৮ মে' সুপ্ৰিমকোৰ্টের নিৰ্দেশ অনুযায়ী তিনি ১১ মে' রাজ্যের সব ডেপুটি কমিশনার এবং ডিআরসিআর দের জানিয়েছেন, আপত্তিকারিরা অনুপস্থিত থাকলে মামলাগুলি একপক্ষীয় ভাবে নিস্পত্তি করে দেওয়ার জন্য। এবং এ কথাও বলেছেন, আপত্তিকারিদের পরিচয় এবং ঠিকানা যেন প্ৰকাশ করা না হয়। অথচ সুপ্ৰিমকোৰ্ট এসওপিতে নিৰ্দ্দিষ্ট ভাবে আপত্তিকারিদের উপস্থিত থেকে পরিচয় ঠিকানা দাখিল করতে বলা হয়েছে। আজ প্ৰতীক হাজেলা এআইইউডিএফ-র এক প্ৰতিনিধি দলকে বলেছেন, ‘‘শুনানির সময় অসুবিধা হতেই পারে' দায় সারা গোছের জবাব দিয়ে বলেছেন, প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিকের যদি নথি পত্ৰ থাকে তবে ভয় কিসের? এআরএন নম্বর আপত্তিকারিরা কোথায় থেকে সংগ্ৰহ করছে? এনআরসি সেবা কেন্দ্ৰগুলি কি সেই গোপন নম্বর সরবরাহ করছে? তার জবাব পাওয়া যায় না। এআইইউডিএফ-র বিধায়ক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আপত্তি দৰ্শানো হয়েছে। পরে সেই অভিযোগকারি জানিয়েছে তিনি আমিনুলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দাখিল করে নি। বরপেটা সহ সারা রাজ্য প্ৰায় ৩ লক্ষ লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষ আতংকের মধ্যে আছে, আগামী ১৫ জুন' খসড়া প্ৰকাশ পাবে, চূড়ান্ত তালিকা ৩১ জুলাই।
কোন মন্তব্য নেই