টংলায় পালিত হল ভাষা শহিদ দিবস
নয়াঠাহর প্রতিবেদন, টংলাঃ এক ভাব গম্ভীর পরিবেশে পালিত হল উনিশে মের ভাষা শহিদ দিবস। রবিবারে সভায় বক্তারা ছিলেন টংলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অভিজিৎ চক্রবর্তী, মুখ্য অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী মলয় কুমার লাহিড়ী, সভাপতি ছিলেন টংলা কলেজের অধ্যাপক স্বপন আচার্য, উপদেষ্টা উঃ পূঃ ভারত বাংলা সাহিত্যসভা। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন টংলা মডেল হাই স্কুলের শিক্ষক শঙ্কর বৈদ্য, ও পানারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিখিল দত্ত। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কালাচাঁদ দে, উঃ পূঃ ভারত বাংলা সাহিত্যসভার সম্পাদক অসীম বসাক, সদস্য আশিস দাস, পলাশ দে প্রমুখ। মঞ্চে উপবিষ্ট প্রতিজন অতিথিকে একটি করে একাদশ ভাষা শহিদের ছবির স্বারক প্রদান করেন উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যেসভার সদস্যরা। অনুষ্ঠানে শহিদের স্মরণে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী স্নিগ্ধা চৌধুরী। সভার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন উঃ পূঃ ভারত বাংলা সাহিত্যসভার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সাহা।
"শহিদের রক্ত হবে নাকো ব্যর্থ, ফিরে দেখা ভাষা আন্দোলন," সাহা বলেন। অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক টংলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অভিজিৎ চক্রবর্তী ভাষণ প্রসঙ্গে বলেন মানুষের অনেকগুলো পরিচয় চিহ্ন আছে। ধর্ম, জাতি, ভাষা, বর্গ, বর্ণ, অর্থনৈতিক-সামাজিক-ভৌগোলিক-ঐতিহাসিক অবস্থান ইত্যাদিতে নিজেকে পরিচিত করতে পারে মানুষ। সমস্ত পরিচয় উপর কর্তৃত্ব করে ভাষা। ভাষায় প্রতিফলিত হয় ব্যক্তির তথা জাতির বাঁচার প্রতিটি পরিসর। বৃষ্টির নাম ইলশেগুঁড়ি কেবল বাংলাতেই সম্ভব। এতে জুড়ে আছে বাঙালির খাদ্যাভ্যাস। মগের মুল্লুক ও তুঘলকি কাণ্ডে জড়ানো ইতিহাস। নাক কাটা যাওয়ার অনুষঙ্গে পৌরাণিক উত্তরাধিকার। তাই, ভাষায় টান পড়লে উত্তাল হয়ে ওঠে জাতি। যেমনটা হয়েছিল ৬১র উনিশে মে। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের দাবি - সুরক্ষিত থাকুক সকলের মাতৃভাষা। আমার ভাষা, আমার অধিকার-- এটাই আজকের স্লোগান। "আমার ভাষা আমার পরিচয়," প্রধান অতিথি বলেন। সভার সভাপতি স্বপন আচার্য বলেন ১৯৬১ সালের ১৯শে মে ভাষা আন্দোলনে একাদশ শহিদ হয়েছিল স্বাধীন ভারতবর্ষে। ঐ শহিদের স্মরণে এবং ভাষা আন্দোলনের শুরু কি ভাবে হয়ে ছিল তার ওপর আলোকপাত করেন। শেষে কন্ঠশিল্পী স্নিগ্ধা চৌধুরীর 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে' সঙ্গীত দিয়ে মনোজ্ঞ সভার সমাপ্তি ঘটে।
কোন মন্তব্য নেই