এন আর সি সেবা কেন্দ্ৰে সম্পূৰ্ণ অগণতান্ত্ৰিকভাবে শুনানি গ্ৰহণ করা হচ্ছেঃ মেহমুদ প্ৰাসা
গুয়াহাটী, ১৮ মেঃ রাজ্যে এনআরসিকে কেন্দ্ৰ করে উদ্ভুত পরিস্থিতিকে অধ্যয়ন করে প্ৰত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অৰ্জনের জন্য অসমে আসা সুপ্ৰিম কোৰ্টের বিশিষ্ট আইনজীবী মেহমুদ প্ৰাসা তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে গেলেন। তিনি গত শুক্ৰবার বরপেটাতে কয়েকটি এনআরসি সেবা কেন্দ্ৰ পরিদৰ্শন করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন– সম্পূৰ্ণ অগণতান্ত্ৰিকভাবে শুনানি গ্ৰহণ করা হেচ্ছ। প্ৰকাশ্যে শুনানি গ্ৰহণ করা উচিত, কিন্তু দেখা গেল রুদ্ধদ্বার কক্ষে শুনানি গ্ৰহণ করা হচ্ছে। অশিক্ষিত, নিরক্ষর মানুষগুলি তাকে সাহায্য করার জন্য সঙ্গে কাউকে আনতে পারছে না। দেখা গেল সব জুনিয়র অফিসাররা শুনানি গ্ৰহণ করছেন। নথি-পত্ৰগুলো ঠিকমত পরীক্ষাও করছেন না অফিসাররা।' উল্লেখযোগ্য যে অধিক সংখ্যক আপত্তিকারির ঠিকানা, ফোন নম্বর নেই। তারা সেবা কেন্দ্ৰে উপস্থিতও থাকছেন না, ডাকলেও তারা আসছেন না। এনআরসি সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা লিখিতভাবে জেলার ডেপুটি কমিশনারদের নিদেৰ্শ দিয়েছেন, আপত্তিকারীরা অনুপস্থিত থাকলে একপক্ষীয়ভাবে মামলা গুলি নিষ্পত্তি কবে দেওয়া যেতে পারে, তার পরও সেবা কেন্দ্ৰগুলিতে নথিপত্ৰ পরীক্ষা করছে। আপত্তিকারীর অনুপস্থিতিতেও শুনানিতে ডেকে এনে নাগরিকদের হয়রানি করছে বলে সোশাল জাষ্টিস ফোরামে আইনজীবী মেহমুদ প্ৰাসা অভিযোগ করেন। এমনকি আপত্তিকারীর অনুপস্থিতির পরও নিষ্পত্তিকারী অফিসাররা ভুক্তভুগীদেরকে এই বলে সাদা কাগজে সাক্ষর করতে বাধ্য করছে যে আপত্তিকারী পরে আসতে পারে। আর সাদা কাগজে কি লেখা হয় তা কেউ জানে না যা সম্পূৰ্ণ অগণতান্ত্ৰিক, বে-আইনী কাজ। ফেরার আগে মেহমুদ প্ৰাসা সংবাদ মাধ্যমকে বলে যান যে তিনি শুনানি প্ৰক্ৰিয়ায় অসমে অব্যাহত অগণতান্ত্ৰিক ও বে-আইনী কাজ সম্পৰ্কে সুপ্ৰিম কোৰ্টের কাছে নালিশ করবেন।
কোন মন্তব্য নেই