অভিবভাবকহীন হাইলাকান্দি জেলার সাম্প্রদায়িক অশান্তির ভোগদশা
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন,হাইলাকান্দিঃ সাম্প্রদায়িক অশান্তি রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে গোটা হাইলাকান্দি জেলা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার জনগণের। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গোষ্ঠী সংঘর্ষের ব্যাপক নিন্দায় মুখরিত বুদ্ধিজীবী মহল। ঘটে যাওয়া ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়। প্রশাসনিক কর্মচারীদের অদক্ষতার শিকার হয়েছেন হাইলাকন্দির শান্তিপ্রিয় জনগন, অভিমত গৌতমবাবুর । বুদ্ধিজীবীদের মতে 'দাঁত পড়লে দাঁতের মর্ম বোঝা যায়'- এ বাক্য এখানে প্রযোজ্য। একাংশের মতে বিগত দিনে গৌতম রায়ের নেতৃত্বে এবারের মতো কখনো এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেখা যায়নি। জেলায় তিন বিধায়ক থাকা সত্বেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ছোটোখাটো বাক বিতণ্ডা নিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করার প্রয়াসকে নষ্ট করার মত ব্যবস্থা নিতে না পারার অভিযোগ উঠেছে। জেলায় শক্ত রাজনৈতিক অভিভাবকের অভাব পরিলক্ষিত হল এবার। শক্ত রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাবে ধুঁকছে সমগ্র বরাক উপত্যকাও। প্রতিনিয়ত নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত জেলার তিন বিধায়কের নিজ নিজ ভূমিকায় ব্যর্থ বলে মনে করছেন বুদ্ধিজীবী মহল। তাছাড়া জেলা প্রশাসন এক সাধারণ ঘটনায় কার্ফু জারি করে নিজেদের অদক্ষতার প্রমাণ দেন, বিশ্লেষকদের মত। বরাকের একমাত্র মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়ের মতো দক্ষতাকে কাজে লাগানোর দরকার ছিল। কিন্তুু তিনি তা পারেননি বলে সাধারণ মানুষের ধারণা। তবে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সর্বানন্দ সোনোয়ালের সরকারের তৎপরতা দেখা যায়। সোনোয়ালের নির্দেশে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রাজীব বরাকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাইলাকান্দিতে পাঠানো হয়। সবমিলিয়ে এক যোগ্য নেতার চয়ন করতে পারলেই ফের এক দায়িত্বশীল রাজনৈতিক অভিভাবক বরাক উপত্যকায় গড়ে উঠবে আগামী দিনে। না হলে সম্প্রদায়িক অশান্তিতে রাতের ঘুম বিঘ্নিত হবেই ।
কোন মন্তব্য নেই