Header Ads

ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকায় লোকসান সত্ত্বেও বাঙালি পাঠকদের স্বাৰ্থেই ‘দৈনিক যুগশঙ্খ’কে বাঁচিয়ে রেখেছিঃ কৰ্ণধার বিজয় কৃষ্ণ নাথ

‘দৈনিক যুগশঙ্খ’র কৰ্ণধারের সঙ্গে ‘নয়া ঠাহর’এর মুঠোফোনে বাৰ্তালাপ


‘‘মাজিথিয়া ওয়েজ বোৰ্ডের সুপারিশ থেকেও বেশি হারে বেতন দিচ্ছি’’
গুয়াহাটি, কলকাতাঃ অসমের ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকায় লোকসান সত্ত্বেও বাঙালি পাঠকদের স্বাৰ্থে আমরা ‘দৈনিক যুগশঙ্খ’কে বাঁচিয়ে রেখেছি। গুয়াহাটি সংস্করণে আমাদের মাসিক বেতন দিতে চলে যায় ১৭ লক্ষ টাকা। প্ৰতিদানে ৮ লক্ষও রাজস্ব পাই না। ‘দৈনিক যুগশঙ্খ’র মতো মৰ্যাদা সম্পন্ন কাগজের মৰ্যাদা রক্ষায় গুয়াহাটির তথা সমগ্ৰ ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকার বাঙালি পাঠকদের স্বাৰ্থে আমি কাগজটিকে বাঁচিয়ে রেখেছি। আমরা মাজিথিয়া ওয়েজ বোৰ্ডের সুপারিশ থেকেও বেশি হারে বেতন দিচ্ছি। তথাকথিত ইউনিয়নের পাল্লায় পরে সাংবাদিকরা নিজেদের মতো করে ডেজিগনেশন বানিয়ে ইচ্ছে মতো বেতন বাড়িয়ে নিয়েছেন। মাজিথিয়া ওয়েজ বোৰ্ডের সেই র‍্যাঙ্কের আওতায় তারা পড়ে না। গত দু’দশক ধরে ইউনিয়ন আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করে যাচ্ছে। একজন কম্পিউটার অপারেটর অ্যাসিস্টেট ইঞ্জিনিয়ারের সম পৰ্যায়ের বেতন পাচ্ছে। গুয়াহাটি মহানগরে ঘর বাড়ি মাটি বানিয়ে নিয়েছে। একজন ডিটিপি অপারেটার সিনিয়ার সাব এডিটারের সম পৰ্যায়ের বেতন তুলছে। এবং সে নিউজে লিখছে কেনিয়াতে সাইকেলের ধাক্কায় একজনের মৃত্যু, এই ধরনের নিউজ বেরোচ্ছে। অসম জাৰ্নালিস্ট ইউনিয়ন যুগশঙ্খের সাংবাদিকদের বিপথে পরিচালিত করছে। যুগশঙ্খ-র কৰ্তপক্ষের বিরুদ্ধে বরাবরই সমালোচনা করে যাচ্ছে। ইউনিয়ন বিভ্ৰান্তি ছড়িয়ে আমাদের কলঙ্কিত এবং বদনাম করছে। আমাদের রেভিনিউ বাড়াবার লক্ষ্যে কাজ করতেই হবে। আমাদের উদ্দেশ্য অত্যাধুনিক মাল্টি এডিশন। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, নাগাল্যান্ড, দিল্লি সমেত সারা দেশে আমাদের ডেস্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা গুয়াহাটির স্টাফদের শিলচর, কলকাতা বদলি করে আমাদের নিউজ ডেস্ককে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাইছি। এটিই বৰ্তমান ভারতবৰ্ষের সংবাদ পত্ৰের অত্যাধুনিক কনসেপ্ট। মাল্টি মিডিয়া এবং মাল্টি এডিশন। কেন্দ্ৰীভূতভাবে এটিকে এক জায়গা থেকে পরিচালনা করা হবে। তার অৰ্থ কৰ্মী ছাটাই নয়, কৰ্মী বিচ্যুতিও নয়। আমরা শুধু বাঙালি নয়, সব জনগোষ্ঠীর মানুষের স্বাৰ্থে কাজ করছি। গরীব কৰ্মচারীদের জন্যও যুগশঙ্খ কাজ করে যাচ্ছে। মাজিথিয়া ওয়েজ বোৰ্ডে বোনাস দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। কিন্তু আমরা উপযুক্ত হারে কাগজের কৰ্মীদের বোনাস দিচ্ছি। ইস্টাৰ্ন ক্ৰনিকল ইংরেজি কাগজকে কলকাতায় নিয়ে এসেছি এবং দ্ৰুত গতিতে কাগজটি এগোচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে যুগশঙ্খ প্ৰতিষ্ঠিত করা হয়েছে। সেখানে তিনটি জায়গা থেকে কাগজ বেরোচ্ছে। অসমে ৩ টি জায়গা থেকে কাগজ বেরোচ্ছে। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে সব কাগজকে টেক্কা দেবে ‘দৈনিক যুগশঙ্খ’। আমাদের প্ৰধান লক্ষ্য শক্তিশালি নিউজ ডেস্ক তৈরি করা। তা শুধু গুয়াহাটিতে নয়, সারা দেশে ছড়িয়ে থাকবে। আমরা সারা দেশে কাগজটিকে একটি মৰ্যাদা সম্পন্ন আসনে পৌঁছে দিতে চাই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.