বিস্ফোরণের দায়ে আটক আলফা নেতা প্রাণময় রাজগুরু ও জাহ্নবী
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ বুধবার সন্ধ্যায় জুরোডের সেন্ট্রাল মলের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনার পর পুলিশ তৎপর হয়ে উঠেছে। বিস্ফোরণের পরেই গোটা মহানগরে হাই অ্যালার্ট জারি করে পুলিশ। শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বৃহস্পতিবার সকাল ভোর চারটার থেকে ফের তল্লাশি এই অভিযান শুরু করে পুলিশ। এই অভিযান চালিয়ে পুলিশ পাঞ্জাবাড়ি নামঘর পথের মসজিদ গলির ১০ নম্বর ভারা ঘর থেকে বৃহৎ পরিমাণে বিস্ফোরক, একটি নাইন এমএম পিস্তল ও ২৫ টি সজীব গুলির সঙ্গে আলফার কিছু নথিপত্র উদ্বার করে পুলিশ। মাত্র কয়েকদিন আগেই এই ঘরটি ভাড়া নিয়েছিল জাহ্নবী আনন্দ ওরফে দাস নামের এক মহিলা। পুলিশের অনুমান এই ঘর থেকেই এই গ্রেণেড বিস্ফোরণে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয়েছিল। কারণ এই ভাড়া ঘরে কাপড়ের বান্ডেলের ভেতর থেকেই বিস্ফোরক সামগ্রীগুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয় বোমা বানানো রাসায়নিক পদার্থ, জিলেটিন স্টিক, পাউডার জাতীয় পদার্থ, আলফা স্বাধীন এর প্যাড ও পতাকা। একটি মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ উদ্ধার করে এই সমস্ত বিস্ফোরক ও আপত্তিজনক জিনিস। সাথে আটক করে জাহ্নবীকে। তাকে ক্রাইম ব্রাঞ্চের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুলিশ তাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের জেরার সামনে শেষ পর্যন্ত জাহ্নবী স্বীকার করেছে, সেই জুরোডে বিস্ফোরণের সাথে জড়িত। মহানগর পুলিশ আটক করেছে ভারত সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় থাকা আলফা নেতা প্রাণময় রাজগুরুকে। কারণ তিনি জাহ্নবীর ঘরে প্রায়শই আসতেন। পাঞ্জাবাড়িতে অভিযানের সময় মহানগরের পুলিশ কমিশনার দেবরাজ উপাধ্যাযেরর সাথে পুলিশের অনেক শীর্ষ অধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধার করা সামগ্রীর মাঝে গ্রেণেড তৈরির সামগ্রীও ছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে ফরেনসিক দল। পুলিশ ফরেনসিক দলকে সমগ্র সামগ্রী প্রদান করেছে। ওদিকে একাংশ সংবাদমাধ্যমকে ফোন করে বুধবার বিস্ফোরণের দায়িত্ব স্বীকার করেছে আলফা (স্বাধীন) সেনা প্রধান পরেশ বড়ুয়া। ধৃত আলফা নেতা রাজগুরু বুধবার বিস্ফোরণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তিনি বলেছেন ‘আমার সংগ্রাম অব্যাহত থাকিব।’ বিস্ফোরণের তদন্তের দায়িত্বের দেওয়া হয়েছে এনআইএকে। এই বিস্ফোরণে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে সিআরপিএফের জবানের সাথে ১২ জন। আহতদের চিকিৎসা চলছে জিএমসিএইচ, নেম কেয়ার হাসপাতালও কেজিএমটি হাসপাতালে।
কোন মন্তব্য নেই