অসমে বাঙালিদের চরম হেনস্থা করা হচ্ছে, সারা অসম বাঙালি যুব ছাত্ৰ ফেডারেশন বিকল্প রাজনৈতিক চিন্তা করছে
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ নিরপক্ষেভাবে এনআরসি প্ৰস্তুত হোক তা বাঙালিরা চায়। ৯৫ ভাগ বাঙালির ভোটে বিজেপি অসম সরকার গড়েছে। সেই ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে অসমে বসবাসকারী হিন্দু, মুসলমান বাঙালিদের এনআরসি প্ৰস্তুতের নামে বিজেপি সরকারের মদতে এনআরসি কৰ্তৃপক্ষ লক্ষ লক্ষ বাঙালিকে ডি ভোটারের তকমা দিয়েছে। মন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্য, বিধায়ক শিলাদিত্য দেব বাঙালিদের চরম হেনস্থা হতে দেখেও চুপ করে আছেন। তাঁদের অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে সারা অসম বাঙালি যুব ছাত্ৰ ফেডারেশন-এর কেন্দ্ৰীয় কমিটি। মঙ্গলবার দিসপুর প্ৰেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এই দাবি করেন ফেডারেশনের সভাপতি কমল চৌধুরী। তাঁরা অভিযোগ করেন- বাঙালিদের সুরক্ষাই ফেডারেশনে বিকল্প রাজনৈতিক চিন্তা শুরু করছে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতি কমল চৌধুরী, সুরেশ সরকার, অজয় সরকার, গোপাল বিশ্বাস প্ৰমুখ নেতারা গুরুতর অভিযোগ করে বলেন- এনআরসি কৰ্তৃপক্ষ আর যোগাযোগ রাখতে চান না। বিভিন্ন ভুয়ো ঠিকানা বিহীন আপত্তিকারীদের গোপনে এআরএন নম্বর সরবরাহ করে বেআইনি কাজ করে চলেছে। সুপ্ৰিম কোৰ্টের অনুমোদন নিয়ে এসওপি তৈরি হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, অভিযোগকারী আপত্তি দৰ্শানো ব্যক্তিদের বিস্তারিত জানাবে। আপত্তিকারীদের শুনানির সময় উপস্থিত থাকতে হবে। সুপ্ৰিম কোৰ্টের নিৰ্দেশও মানা হচ্ছে না। ১৯৫০ থেকে ৫১ সালের আগে আসা মানুষগুলোর বিরুদ্ধে আপত্তিকারীদের আবেদনগুলি খারিজ না করে শুনানি গ্ৰহণ করা হচ্ছে। বিজেপি সরকারের বাঙালি বিরোধী স্থিতি আর ফেডারেশন মানবে না। গণ আন্দোলন ডাক দেবে।
বাংলাদেশির নামে দোকান বন্ধ হউক তা চায় না কিছু নির্দিষ্ট সংগঠন।
উত্তরমুছুন