বরপেটায় এনআরসি অধিকারিকের হাতে প্ৰহৃত এক ব্যক্তি ও একজন মহিলা, আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে
নয়া ঠাহর প্রাতিবেদন, বরপেটাঃ এনআরসি দাবি পর্বের শুনানির সাক্ষী দিতে এসে চরম হেনস্তার শিকার হলেন এক ব্যক্তি ও এক মহিলা। এনআরসির কর্মরত অধিকারিকের হাতে শারীরিক নির্যাতনের বলি হতে হয় তাদের। জানা গিয়েছে, বরপেটা জেলার চেঙ্গা সার্কেল অফিসারের অধীনে চলা এনআরসির দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির সাক্ষী দিতে এসেছিল বরপেটা জেলার ভালুকাবাড়ি পাথর গ্রামের আলম হুসেইন (৩০) নামের এক ব্যক্তি। চেঙ্গা উন্নয়ন খণ্ডের নম্বর তিনের টেবিল নম্বর ছয়ের নিষ্পত্তিকারী অধিকারিকের নম্বর ৩০৩০২০২১০০৭৯৩০০৬ এর কাছে নিজের তথ্য জমা দেওয়ার সময় দিনের প্রায় ১১ টার সময় নিজেদের মাঝে কথা বলতে থাকার অপরাধে সরকারি নিষ্পত্তিকারী অধিকারিক তথা চেঙ্গা প্রাথমিক শিক্ষা খণ্ডের অধীনে কর্মরত ভদ্রেশ্বর তালুকদার নামের শিক্ষক যুবককে শারীরিকভাবে আক্রমণ করে মাটিতে ফেলে দেয়। একই সময়ে শিক্ষক ও এনারসির অধিকারিক জামেলা খাতুন(৬৫) নামের এক মহিলার স্যান্ডেল দিয়ে আক্রমণ করে। এই কার্য চলতে থাকার সময় এই একই কক্ষে শুনানি হচ্ছিল হরিপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির। তার তৎপরতায় গুরুতর আক্রমনের থেকে রক্ষা পায় মহিলা ও যুবক। এই প্রসঙ্গে ছাত্র মুক্তি সংগ্রাম সমিতির বরপেটা জেলার সম্পাদক আশরাফুল হুসেইন, আমুর বরপেটা জেলা সমিতির উপ-সভাপতি মনির উদ্দিন খানের ও এক যুবকের তৎপরতায় সার্কেল অফিসার রাজীব দাসের অভিযোগ করা হয়। রাজীব দাসের সাথে তারাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক জ্যোতিষ দাস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেন। ওদিকে ভুক্তভোগীর তরফ থেকেও উল্লেখিত থানাতে ১১৭/২০১৯/ইউ/এস/২৯৪/৩২৩/৫০০ নম্বরে একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। সার্কেল অফিসার নম্বর এনআরসি অধিকারিককে গ্রেফতার করে। সার্কেল অফিসার রাজীব দাস জানান- এনআরসির অধিকারিককে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সমাজকর্মী আশরাফুল হুসেইন শিক্ষা বিভাগের কাছে শিক্ষকে অতি শীঘ্ৰই বরখাস্ত করার দাবি করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই