পশ্চিম কাৰ্বি আংলঙে বন্য হস্তীর উপদ্ৰব অব্যাহত
বনাঞ্চলের পরীবৰ্তে জনাঞ্চলে অবস্থান বুনো হাতীর পাল, বহু পরিবারের ঘর ভেঙে
লণ্ড-ভণ্ড
সঙ্গীতা ভৌমিক দাসঃ ডিফু,
পশ্চিম কাৰ্বি আংলঙের বৃহত্তর খেরণি অঞ্চল এখন বুনো হতীর বিচরণস্থলে পরিণত হয়েছে। ৭০-৮০ টি বুনো হাতীর পাল এখন বনাঞ্চলে থাকার বিপরীতে জনাঞ্চলেই অবস্থান গ্ৰহণ করেছে। দিনের ভাগে আঁখ খেতির মাঝে আশ্ৰয় নিয়ে বিকেল হওয়ার সাথে সাথেই গ্ৰামে প্ৰবেশ করে সন্ত্ৰাসের সৃষ্টি করে এসেছে। কাল সন্ধ্যে ৪টা নাগাদ থেকেই সারারাত খেরণির হাজাগাফের গ্ৰাম, বাক্ৰিফাংহাজা, মচকা, মাইজিয়া-হাদি গ্ৰামে উপদ্ৰব চালায়। বিকেলে প্ৰথমে হাজাগাফের গ্ৰামে ধান খেতিতে হামলা চালিয়ে ধান খেতি ধ্বংস করার পর 3নং বাক্ৰি ফাংহাজা গ্ৰামে প্ৰবেশ করে ক্ৰমে শান্তিরাম ডাউলাগাপু, চৈত্য পতি হাষ্ণু, মটিশ্বর হাষ্ণুর ঘরে আক্ৰমণ করে ঘরবাড়ি সম্পূৰ্ণরূপে ধ্বংস করে। এই হাতীর পালটি বৰ্তমানে খেরণির জেংক্ৰ গ্ৰামের আঁখের খেতিতে কয়েদিন অবস্থান করার পর খেরণি টিলহা বস্তি নামের গ্ৰামে অবস্থান করে। তারপর খেরণি কৃষি পামের আঁখের খেতিতে আশ্ৰয় গ্ৰহণ করে যদিও সেই স্থান থেকে ট্ৰেক্টর, জেসিবি ইত্যাদি ব্যবহার করে খেদিয়ে পাঠানোর পর এখন টখাদী এবং মচকা গ্ৰামে অবস্থান গ্ৰহণ করে আছে। উল্লেখ্য যে এই হাতীর পালেরই আক্ৰমণে গত ৪ ডিসেম্বরে চারজন এবং ৯ ডিসেম্বরে একজনসহ গত একমাসে পশ্চিম কাৰ্বি আংলঙে পুরnষ-মহিলা-কিশোরসহ প্ৰায় ১০জন লোক নিহত হয়েছে। কিন্তু তারপরও বন বিভাগ আশ্চৰ্যজনকভাবে নিরব।
কোন মন্তব্য নেই