মেঘালয় হাইকোৰ্ট প্ৰস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে জোরাল সমৰ্থন করায়, দেশ জুড়ে প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি
ননী গোপাল ঘোষঃ শিলং
প্ৰস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে অসমে জাতীয়তবাদী সংগঠন আসু সহ ৭০ টি সংগঠন এমনকি বিজেপি সরকারের শরিক দল অগপ রাজ্যে জুড়ে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলেছে। কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতির নেতা অখিল গগৈ দাবি করেন, বিলটি আইনে পরিণত হলে বাংলাদেশের ১ কোটি ৬০ লক্ষ বাঙালি হিন্দু অসমে চলে আসবে। অসমীয়াদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। বেআইনি সংগঠন আলফা (স্বাধীন)ও এই আন্দোলনকে সমৰ্থন করেছিলো। বরাক কংগ্ৰেসেও সমৰ্থন করেছিল। বিলটিকে কেন্দ্ৰ করে দেশ জুড়ে বিশেষ করে অসমে অসমীয়া-বাঙালিদের মধ্যে সম্পৰ্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটে। বিজেপে সভাপতি রঞ্জিত দাসও আজ বলেছেন, বিলটিকে কেন্দ্ৰ করে অসমে অসমীয়া-বাঙালিদের ভাতৃঘাতের সংঘাতের ষড়যন্ত্ৰের সূচনা হয়েছিল। সংসদে বিলটি উত্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু দেশকে চমকিয়ে দিয়ে হাজার বিরোধিতার মধ্যেও মেঘালয় হাইকোৰ্ট সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমৰ্থন করে বিলটি অবিলম্বে কাৰ্যকরী করার জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকারকে অনুরোধ করেছেন। ৩২ পৃষ্ঠার ঐতিহাসিক রায়ে দ্ৰুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আৰ্জি জানিয়ে হাইকোৰ্টের বিচারপতি এস আর সেন বলেছেন, প্ৰতিবেশী তিনটি দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে নিৰ্যাতনের বলি হয়ে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পাৰ্সি , খ্ৰিষ্টান, খাসি, জয়ন্তীয়া ও গারো সম্প্ৰদায়ের মানুষ ভারতে এসেছে, তাদের নথি পত্ৰ ছাড়ায় ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। তিনি বলেছেন, প্ৰতিবেশী রাষ্টে্ৰ ধৰ্মীয় নিৰ্যাতনের বলি মানুষগুলির কোনও দেশ নেই, ভারতে আসবে না তো কোথায় যাবে? মেঘালয় হাইকোৰ্টের এই রায় দানের পরে দেশ জুড়ে প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ধৰ্মের ভিত্তিতে এই রায় দানের তীব্ৰ সমালোচনা করেছেন অল ইণ্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তিহাদ আল মুসলিমিনের নেতা জনাব আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তিনি আজ অভিযোগ করেছেন, ধৰ্ম নিরপেক্ষ দেশে এই ধরণের বিল দেশর সাম্প্ৰদায়িক সম্প্ৰীতিকে বিপন্ন করে তুলবে।ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্ৰ গড়ার ষড়যন্ত্ৰ করছে কেন্দ্ৰ। খাসি ছাত্ৰ সংস্থাও মেঘালয় হাইকোর্টের রায়ের সমালোচনা করছে।
কোন মন্তব্য নেই