২৪ ঘণ্টার ডিমা হাসাও জেলা বনধ-এর ব্যাপক প্রভাব জেলায়
বিপ্লব দেবঃ হাফলং
ডিমাসা স্টুডেন্টস্ ইউনিয়ন-সহ ছয়টি ছাত্ৰ সংগঠনের ডাকা ২৪ ঘণ্টার ডিমা হাসাও বনধ-এ স্তব্ধ হয়ে পড়েছে ডিমা হাসাও জেলার স্বাভাবিক জীবন। বুধবার ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয়েছে চলবে বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত।
ভেঙে দেওয়া জঙ্গি সংগঠন বিএলটি-র সঙ্গে সরকারের স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রের ৮ নম্বর ক্লজ থেকে বড়ো জনগোষ্ঠীকে পার্বত্য জনজাতি (এসটি হিলস)-র মর্যাদা দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা বন্ধ করা এবং চুক্তি পত্র থেকে এই ক্লজ বাদ দেওয়ার দাবিতে এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলির অধীনে ২৪৪ (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে ডিমা হাসাও ও কার্বি আংলং জেলাকে নিয়ে পৃথক স্বশাসিত রাজ্য গঠনের দাবিতে ডিমাসা স্টুডেন্টস্ ইউনিয়ন, কার্বি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, মার স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, বেইতে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, রাংখল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ২৪ ঘণ্টার জেলা বনধ-এর ডাক দিয়েছিল।
তবে বনধ-এর আওতা থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, পানীয় জল, শিশুখাদ্য, স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদিকে দূরে রাখা হয়েছে। এদিকে ২৪ ঘন্টার পাহাড়ি জেলা বনধে ডিমা হাসাও জেলার সদর শহর হাফলং মাইবাং উমরাংশু মাহুর লাংটিং হাতিখালি হারাঙ্গাজাও দিহাঙ্গী দিয়ুংমুখ প্রভৃতি এলাকায় বনধ ছিল সর্বাত্মক। এছাড়া বনধের দরন শৈলশহর হাফলঙের বাজার হাট দোকানপাট সহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সবই ছিল বন্ধ। তাছাড়া বনধের জেরে হাফলঙে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শুরু করে অফিস আদালত ব্যাঙ্ক পোষ্ট অফিস স্বশাসিত পরিষদ সচিবালয় সবই ছিল বনধের আওতায়। বনধের দরুন এনআরসি সেবাকেন্দ্র গুলি ও ছিল বন্ধ। তবে জেলাশাসকের কার্যালয় খোলা থাকলেও কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল নগন্য। এদিকে স্কুল কলেজে আজ পরীক্ষা থাকায় বনধের দরুন ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক দূর।
বহুদূর থেকে ছাত্রছাত্রীদের পায়ে হেঁটে এসে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এদিকে বনধের দরুন জেলার কোন জায়গা থেকে দূরপাল্লার কোন গাড়ী চলাচল করেনি তবে পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল বুধবার। এদিকে বনধকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রিতিকর ঘটনার কোন খবর মিলে নি।
কোন মন্তব্য নেই