ওপার বাংলার ভোট, নজর রয়েছে প্রতিবেশীদের
ননী গোপাল ঘোষ - ওপার বাংলায় বেজে উঠেছে ভোটের দামামা। ভোটে শুধু প্রতিবেশীদের নয়, নজর রযেছে অসংখ্য বাঙালির। নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক মহল সহ বিভিন্ন দেশের ও ইউনিয়নের। ঢাকার মসনদে কে বসছেন? ফের আওয়ামী লিগ না বিএনপি ও তাদের মিলিত জাতীয় ঐক্য জোট। কোটি টাকার এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভোটের ফলাফল অবধি। হাসিনার আমলে প্রকাশে গুম অপহরণের অভিযোগ উঠেছে বিস্তর। একনায়কতন্ত্ৰের অভিযোগ রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মহলে সুনাম ও কুড়িয়েছেন হাসিনা। মহাকাশে বংগবন্ধু-1 উপগ্রহ পাঠানো, রোহিংগাদের আশ্রয় দেওয়া, সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থে তৈরি হতে চলা এশিয়ার অনতম দীর্ঘ পদ্মা সেতু সহ জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ অসংখ্য সুনাম এনে দিয়েছে হাসিনাকে। তবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতার দায় অনেকটাই এড়াতে পারছেন না হাসিনা। বিশেষ করে বাংলাদেশের কিছু কিছু গ্রামাঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বিগত বছরগুলিতে ঘটে যাওয়া অত্যাচারের কাহিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের জেরে পাঁচখানা হতে দেরি হয়নি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লিগের ধর্মনিরপেক্ষ ইমেজ এতে অনেকটাই টাল খেয়েছে। চিন ও কড়া নজর রাখছে নির্বাচনে। চিন বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের টোপ ও ইতিমধ্যেই দিয়ে রেখেছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে চিন নিজের স্বার্থ উদ্ধারের কাজ চালাতে পারে বলে আন্তর্জাতিক বোদ্ধাদের একাংশের মত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে চিন্তিত ভারত। খালেদা জিয়া জেলে থাকায় ভোটে লড়তে পারবেন না। খালেদা পুত্র তারেক রহমান লন্ডনে বসেই ভোটের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। ভারতের জন্য ও এই ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান ও জলের তল মাপছে। মায়ানমার ও নজর রেখেছে নির্বাচনের উপর। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল যে জোরদার প্রভাব ফেলতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতি সহ কুটনীতিতে তা বলাই বাহুল্য।
কোন মন্তব্য নেই