বিজেপি পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে বিজেপি এগিয়ে আছে, কংগ্ৰেস রিগিংয়ের অভিযোগ করেছে, অগপও অভিযোগ করেছে
গুয়াহাটিঃ অসমে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে দু-দুবার দিন ক্ষণ পরিবৰ্তন করে গৌহাটি হাইকোৰ্টের কড়া নিৰ্দেশ মেনে শেষ পৰ্যন্ত রাজ্যে দুপৰ্যায়ে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচন অনুষ্ঠিত হল ৫ ডিসেম্বর এবং ৯ ডিসেম্বর। এন আর সির কাজে নিয়োজিত ৫৫ হাজার কৰ্মচারীকে বাদ দিয়ে নিজস্ব মেশিনারি দিয়ে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যার ফলে ভোটার তালিকা থেকে শুরn করে বিভিন্ন ক্ষেত্ৰে ব্যাপক ত্ৰুটি বিচূ্যতি থেকে গেছে। বরাক-ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকায় বিভিন্ন জেলায় শাসক দল ব্যাপক রিগিং করেছে বলে কংগ্ৰেস দল অভিযোগ করেছে। শরিক দল অগপ প্ৰথম থেকে এককভাৱে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচন লড়বে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সবার আশা ছিল বিজেপি থেকেও ভাল ফল করবে অগপ। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শাসক দল বিজেপি এখন পৰ্যন্ত সব দল থেকে এগিয়ে আছে। কংগ্ৰেস দল বিগত ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে ৪২০টি জেলা পরিষদের মধ্যে সৰ্বোচ্চ আসনে জয়লাভ করেছিল, কংগ্ৰেস ২৭৩ আসনে, বিজেপি পেয়েছিল মাত্ৰ ১৫টি আসন, এআইইউডিএফ পেয়েছিল ৭৬টি আসন, অগপ ২৫টি আসন, সিপিএম 2টি আসন, সিপিআই ৰটি এবং অন্যান্যরা ২৪টি। সাৰ্বিকভাবে কংগ্ৰেসের পক্ষে পঞ্চায়েত ছিল। এবার এখন পৰ্যন্ত যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে বিজেপি জেলা পরিষদে ৩৩টি আসন দখল করেছে, কংগ্ৰেস ২৩টি, অগপ ৪ টি, এআইইউডিএপ জ্জ্বটি। আঞ্চলিক পরিষদে বিজেপি পেয়েছে ১১৯টি, কংগ্ৰেস ৭৯, অগপ ১৩, এআইইউডিএফ ১৭টি আসন। পঞ্চায়েত সভাপতি পদে বিজেপি ১৭৭, কংগ্ৰেস ১০১, অগপ ২১, এআইইউডিএফ ২০টি আসন, এবং পঞ্চায়েত সদস্য পদে বিজেপি ৯৫০, কংগ্ৰেস ৫৫২, অগপ ১৭৫, এবং এআইইউডিএফ ৫০টি আসন এখন পৰ্যন্ত দখল করেছে। কংগ্ৰেসের এক মুখপাত্ৰ দাবি করেন, ২০০টির বেশি জেলা পরিষদের আসন দখল করতে পারবে না। কংগ্ৰেসের অভিযোগ শাসক দলের হাতে সাধারণত পঞ্চায়েত থাকে। বিজেপি হেলিকপ্টার নিয়ে বিলাসী প্ৰচার চালিয়েছে। বহু টাকা ব্যয় করেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির পক্ষেই পঞ্চায়েত যােচ্ছ। বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাস উৎফুল্লিতভাবে বলেন, বিজেপি যে এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অৰ্জন করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা অগপকে বারবার অনুরোধ করেছিল এক সঙ্গে লড়বার জন্য। কিন্তু অগপর সাধারণ পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে অগপ বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে নি। অগপ এখন বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপােচ্ছ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে রাজ্য জুড়ে যে ভাবে সরকার বিরোধী প্ৰচারাভিযান চালানো হয়েছিল, তাতে ধারণা হয়েছিল বিজেপি পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে ভালো ফল করতে পারবে না। শেষ পৰ্যন্ত স্বয়ং মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল, অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা সরাসরি শরিক দল অগপকে আক্ৰমণ করে অগপর মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি করে। তাই শেষ পৰ্যন্ত অগপর ঝুলিতে কম ভোট পরে বলে রাজনৈতিক মহলের বিশ্বাস। অগপ-বিজেপির মধ্যে যে ভাবে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনকে কেন্দ্ৰ করে।
কোন মন্তব্য নেই