পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নিৰ্বাচনে বিরোধীদের জয়লাভের পিছনে বামপন্থীদের কৃষক আন্দোলনের বড় ভূমিকা আছেঃ সুপ্ৰকাশ তালুকদার
মিজোরামের ভাবী মুখ্যমন্ত্ৰী জূরাম থাংমা
গুয়াহাটিঃ বিরোধীদের ধূলিসাৎ করে ঝড়ের গতিতে বিজেপি ক্ষমতাসীন হয়েছিল দিল্লীতে। সম্প্ৰাদায়িক হিন্দুত্ববাদী প্ৰচার, রাম মন্দির নিৰ্মাণ, বিভাজনের রাজনীতি দেশ জুড়ে অহিষ্ণুতার বাতাবরণ, কৃষকের অসন্তোষ আত্মহত্যা, যুব সমাজরে ক্ষোভ, কৰ্মসংস্থানের অভাব, মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতা, বিমুদ্ৰাকরণ, জিএসটি-র কুপ্ৰভাব, বিশেষ করে জ্বালানি তেল সহ নিত্যপ্ৰয়োজনীয় সামগ্ৰীর আকাশ সমান মূল্যবৃদ্ধির আম জনতার নাভির শ্বাস উঠেছিল। তারই প্ৰতিফলন ঘটলো পাঁচ রাজ্যে বিধানসভার নিৰ্বাচনে। আজ রাজ্যের বিভিন্ন দল সংগঠনের অভিমত এরকমই। কেন্দ্ৰ এবং রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা আসার পর রাজ্যে যে ধরণের আনন্দ উল্লাসের সৃষ্টি হয়েছিল, তাকে ছাঁপিয়ে গেল আজকের আনন্দ উল্লাস-উচ্ছাস। মিজোরামে কংগ্ৰেসের পরাজয় হলেও দেশের খবরে রাজীব ভবনে আজ উল্লাসের কোনও খামতি ছিল না। পাশাপাশি বিজেপি কাৰ্যালয় ছিল শুনশান। আজ বামপন্থী শিবিরেও উচ্ছাস প্ৰকাশ করা হয়। রাজ্যের সি পি এম নেতা সুপ্ৰকাশ তালুকদার আজ জানান, রাজস্থানে দুইটি আসনে এবং ছত্তিশগড়ে সিপিএম জয়লাভ করেছে। তেলেঙ্গানায় ফরোয়াৰ্ড ব্লক ১ টি আসনে জয়লাভ করেছে। রাজস্থানের শ্ৰীদুঙ্গারগড় নিৰ্বাচন কেন্দ্ৰ থেকে সিপিএম প্ৰার্থী ২৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন। ভদ্ৰা কেন্দ্ৰে থেকে ৭০ হাজারের বেশি ভোটে সিপিএম এগিয়ে আছে। বিশিষ্ট সিপিএম নেতা বলেন, মোদীর রাজত্বে দেশের শ্ৰমজীবি মানুষ এবং কৃষকদের হাল সব থেকে শোচনীয় হয়েছে। সারা দেশে কৃষকদের জোটবদ্ধ করে দিল্লী যাত্ৰা, মুম্বাই যাত্ৰার পিছনে বামপন্থী দলগুলির অবদান অনস্বীকাৰ্য। পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তর পূৰ্বাঞ্চল থেকে হাজার হাজার কৃষক এই সব যাত্ৰায় সামিল হয়েছিল। তাই কৃষকদের ন্যায্য মূল্য আদায়ের ক্ষেত্ৰে তাদের অধিকার সাব্যস্ত করার ক্ষেত্ৰে বামপন্থীদলগুলির অবদান অস্বীকার করা যাবে না। মধ্যপ্ৰদেশসহ প্ৰতিটি রাজ্যে সিপিএম প্ৰার্থী দিয়েছিল। আগামী দিনে দেশে শ্ৰমজীবি গরিব মানুষের মধ্যে বামপন্থী আন্দোলন জোরদার করা হবে বলে তালুকদার জানান। অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী দাবি আপত্তির সময়সীমা ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্ৰায় ৩০ লক্ষাধিক মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়বে। তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে সে সম্পৰ্কে এক প্যকেজ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে রাজ্য সিপিএম। রাজ্যিক সিপিএম নেতা তালুকদার আজ বলেন, সরকার এবং এন আর সি কৰ্তৃপক্ষর উচিত লক্ষ লক্ষ বাদ পরা মানুষদের ভবিষ্যৎ নিৰ্ধারণের জন্য সৰ্বদলীয় বৈঠক ডেকে এক প্যকেজ ঘোষণা করা। এই প্যকেজে মাধ্যমের সরকারকে নিৰ্দিষ্ট ঘোষণা করতে হবে বাদ পরা লক্ষ লক্ষ মানুষের ভাগ্যে কি ঘটবে? মিজোরাম, রাজস্থান, মধ্যপ্ৰদেশ, তেলঙ্গানা, এবং ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নিৰ্বাচন সম্পৰ্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেছেন, ‘বিজেপির শেষের শুরু, বিদায় ঘ°টা বেজে গেল। দেশে অহিষ্ণুতার বাতাবরণ সৃষ্টি করা, হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করা এমনকি সাংবাদিকদেরও হুমকি দেওয়ার দিন শেষ হলো'। শিবসেনা নেতারা বলেছেন, পাপ্পু বলে রাহুল গান্ধীকে আর অপমান করা যাবে না। এবার বলতে হবে ‘পরম পুজনীয় রাহুল'। এখন রাত ৮-৩০ পৰ্যন্ত মধ্যপ্ৰদেশে ২৩০ টা আসনের মধ্যে কংগ্ৰেস পেয়েছে ১১২, বিজেপি পেয়েছে ১১০ আসন, রাজস্থানে ২০০টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৭৩, কংগ্ৰেস পেয়েছে ১০১টি আসন, ছত্তিশগড়ে ৯০টি আসনের মধ্যে কংগ্ৰেস পেয়েছে ৬৭ টি আসন, বিজেপি পেয়েছে ১৫টি আসন, তেলেঙ্গানায় ১১৯টি আসনের মধ্যে টিআরএস ৮৮, কংগ্ৰেস ২১, বিজেপি মাত্ৰ ১ এবং মিজোরামে ৪০টি আসনের মধ্যে এমএনএফ ২৬টি, কংগ্ৰেস পেয়েছে ৫ টি, বিজেপি পেয়েছে মাত্ৰ ১ টি আসন।
কোন মন্তব্য নেই