কাৰ্বিআংলঙে আলাদা রাজ্যোর দাবি থেকে আমরা সরে দাঁড়াবো না- তুলিরাম রংহাং
ডিফুঃ মঞ্চ বিজেপির হোক অথবা কংগ্ৰেসের আমরা আমাদের দাবি থেকে সরবো না। সংবিধানের ২৪৪/ক ধারা অনুযায়ী কাৰ্বিআংলঙে রাজ্যের মধ্যে রাজ্য গড়ে তোলার দাবি আমাদের থাকবে। এর আগেও ‘অটনোমাস স্টেট ডিমান্ড কমিটি’-র জয়ন্ত রংপি, হলিরাম টেরনের মতো নেতারা এই দাবি তুলেছেন। এই দাবি এখনও রয়েছে। শনিবার ডিফুতে জাফা-র বাৰ্ষিক অধিবেশনে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বক্তব্য রাখেন কাৰ্বিআংলং স্বশাসিত জেলা পরিষদের সিইএম তুলিরাম রংহাং। তিনি আরও বলেন- ১৯৫১ সালের আগে কাৰ্বিআংলঙে বোড়ো ছাড়াও আরও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ এসেছে। বোড়োরা সেখানে আলাদা করে তফশিলি ভুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণের দাবি তুলছে। সেটা কোনও পৰ্যায়েই মেনে নেওয়া যাবে না। কাৰ্বিআংলঙে প্ৰচুর প্ৰাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। কয়লা থেকে শুরু করে বহুমূল্য প্ল্যাটিনাম রয়েছে সেখানে। ডিব্ৰুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজিক্যাল বিভাগ থেকে পরীক্ষা করে দেখেছে সেখানে প্ৰচুর পরিমাণে প্ল্যাটিনাম রয়েছে। তা ঠিকমতো প্ৰচারে আসছে না। সংবাদ মাধ্যমে ঠিকমতো প্ৰচার হলে কাৰ্বিআংলঙে প্ৰচুর উন্নতি এবং বিকাশ সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এদিনের সভায় জাফা-র সভাপতি লংসিং তেরন বলেন- গত জুন মাসে ডকমকায় গুয়াহাটি থেকে দুই পৰ্যটক অভি এবং নীলকে যেভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হল, সেই ঘটনাটি হয়েছে বোড়ো, কছাড়ি অধ্যুষিত গ্ৰামে। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে ভুল প্ৰচারের ফলে কাৰ্বিআংলঙের নাম বদনাম হয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি এও বলেন, অপরাধ অপরাধই, সে বোড়োই হোক, কছাড়িই হোক অথবা কাৰ্বিই হোক। এদিনের সভায় বিশিষ্ট সাংবাদিক নগেন বরা, অভ্যৰ্থনা কমিটির সভাপতি রাজবীর সিং প্ৰমুখ ছাড়া আরও বহু গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই