দেশের সুরক্ষার সঙ্গে ছেলেখেলার দায়ে ক্ষমা চাক কংগ্ৰেসঃ যোগী আদিত্যনাথ
দেবযানী পাটিকর,গুয়াহাটিঃ একদিনের গুয়াহাটি সফর শেষ করে ফের লখনৌ ফিরে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার সকালে বরঝাড়ের গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হলে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। যোগীর আগমনে বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। বিমনবন্দর থেকে তিনি রওনা দেন খানাপাড়ার অ্যাডমিনিসট্ৰেটিভ স্টাফ কলেজে। সেখানে তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন- সুপ্ৰিম কোৰ্ট রাফেলকে নিয়ে যে রায়দান করেছে কংগ্রেস দল সেক্ষেত্রে দেশের সুরক্ষার প্রতি সংশয় সৃষ্টি করেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের গুরুত্বপূৰ্ণ রায়ের প্ৰতি সকলের দৃষ্টি আকৰ্ষণ করতেই তিনি গুয়াহাটি উপস্থিত হয়েছেন। প্ৰসঙ্গত, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হবার পর এই প্রথম তাঁর গুয়াহাটি সফর। বিজেপি আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিতেই তাঁর গুয়াহাটি আসা। এদিন তিনি কংগ্ৰেসের সমালোচনা করে বলেন- কংগ্ৰেস হচ্ছে দেশের প্ৰাচীনতম দল। দেশের প্ৰতিরক্ষা, স্বাভিমান, দেশের পরম্পরাকে লঙ্ঘন করাটা সত্যিই খুব দুৰ্ভাগ্যজনক। কংগ্ৰেসের সৰ্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং তাঁর দল দেশের সুরক্ষার সঙ্গে ছেলেখেলা করেছে। কংগ্রেসের দ্বারা সরকারের বিরুদ্বে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে তা খোদ দলের ক্ষমতার ওপর প্রশ্ন চিহ্ন দাঁড় করিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন রাহুলের উচিত অতি সত্বর দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া। দেশে কারগিল যুদ্ধের পর সেনার সুরক্ষা অত্যাধুনিক করার করার জন্য তৎকালীন সরকারের কাছে কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার চলে যাবার পর ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কংগ্রেস শাসনাধীন ইউপিএ সরকার শাসন করেছে। এত বছর শাসন করার পরও এই দেশের সুরক্ষার জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দেশের সুরক্ষার জন্য কংগ্রেস কিছু করেনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকের পর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শক্তিপীঠ কামাখ্য ধামে উপস্থিত হন পৌনে চারটে নাগাদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী সহ আরও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। যোগীর কামাখ্যা দর্শনকালে কামাখ্যা পাহাড়ে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা তোলা হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে লোকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এরপর সেখান থেকে বিশেষ বিমানে করে তিনি গুয়াহাটি থেকে লখনৌর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
কোন মন্তব্য নেই