রোগীদের পণবন্দী করে নাৰ্সরা আন্দোলন চালাচ্ছেঃ পিযুষ হাজরিকা
৭০০ ষ্টাফ নাৰ্স নিয়োগের প্ৰক্ৰিয়া চলছে
জি এন এম নাৰ্সদের আন্দোলন অব্যাহত, প্ৰসূতি, নবজাতকের মৃত্যু ঘটেই চলেছে
গুয়াহাটিঃ সারা অসম জি এন এম নাৰ্স সংন্থার আন্দোলন আজ ৪ দিন অতিক্ৰান্ত হল। গুয়াহাটি, যোরহাট, বরপেটা, শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ করিমগঞ্জ, মরিগাঁও, তেজপুর, কোকরাঝাড় এবং ডিফু প্ৰভৃতি সিভিল হাসপাতালে এই আন্দোলনের ব্যপক প্ৰভাব পড়েছে। যোরহাট মেডিকেল কলেজে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জন প্ৰসূতি এবং ৪ জন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। যোরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই মাস দুয়েক আগে প্ৰায় ২০ জন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছিল। যোরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬০ জন নাৰ্স ছিল সবাই আন্দোলনে সামিল হয়েছে, বাইরে থেকে ৫০ জন নাৰ্সদের নিয়ে এসে কাজ চালানোর চেষ্টা চলছে। আজ দিশপুরে সারা অসম নাৰ্স সংন্থার সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের আলোচনা সফল হয়নি। নিষ্পত্তিহীনভাবে শেষ হয়েছে। প্ৰতিবাদী আন্দোলনকারীদের গ্ৰেফতারও করা হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছে ষ্টাফ নাৰ্সদের স্থায়ীভাবে বহাল, একই পোষ্টে একই বেতন, পদোন্নতির নিশ্চয়তা, বদলির সুযোগ ইত্যাদির দাবিতে লিখিত ও নিৰ্দিষ্ট প্ৰতিশ্ৰুতি ছাড়া এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা এই আন্দোলন সম্পৰ্কে বলেছেন, পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের আচরণ বিধি চলছে, এখনই ব্যপারে সিদ্ধান্তের কথা জানানো যাবে না। স্বাস্থ্য প্ৰতিমন্ত্ৰী পিযুষ হাজরিকা নাৰ্স সংন্থার সমালোচনা করে বলেছেন, রোগীদের পণবন্দী করে নাৰ্স সংন্থা আন্দোলন করছে, তা মানবতা বিরোধী। তিনি অভিযোগ করেন, গ্ৰামাঞ্চলের প্ৰাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্ৰগুলি থেকে নাৰ্সদের নিয়ে এসে মেডিকেল কলেজগুলিতে সেবা করার সুযোগ নিতে দিচ্ছে না, আন্দোলনকারীরা বাধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, আলোচনার জন্য তিনি নাৰ্স সংন্থাকে আগামী ২৬ তারিখে আমন্ত্ৰণ জানিয়েছিলেন, কিন্তু তারা উপস্থিত হয়নি। উেল্টে সংন্থা অভিযোগ করেছে স্বাস্থ্য প্ৰতিমন্ত্ৰী আলোচনা করতে রাজি হয়নি। বৰ্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য অবসর প্ৰাপ্ত নাৰ্স এবং মেট্ৰোনদের নতুন করে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ছাড়া ৭০০ ষ্টাফ নাৰ্স নিয়োগরে প্ৰক্ৰিয়াও চলছে। দিশপুরে অভিযোগ এসেছে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে আন্দোলনকারী নাৰ্সরা রোগীদের আপত্তি অগ্ৰাহ্য করে লাউড স্পীকার বাজিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছে। আজ মাজুলিতেও এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে এই আন্দোলনের ফলে হাহাকার অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই