বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে বিপৰ্যয়ের মুখে গোটা পৃথিবীঃ আইপিসিসি-র রিপোৰ্টে প্ৰকাশ
প্ৰতীকী ছবি
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, রাষ্ট্ৰপুঞ্জঃ বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে দীৰ্ঘ দিন ধরে সতৰ্ক করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। সোমবার রাষ্ট্ৰপুঞ্জের ‘ইন্টারগভৰ্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি) রিপোৰ্ট পেশ করে জানিয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে বিপৰ্যয়ের মুখে গোটা পৃথিবী। পরিস্থিতি দিন দিন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। ভারতের অবস্থা শোচনীয়। রিপোৰ্ট মতে ভবিষ্যতে মারণ তাপপ্ৰবাগের সম্মুখীন হতে হবে এই দেশকে। ম্যালেরিয়া ডেঙ্গুর মতো রোগও বাড়বে। গরম বাড়বে মেগাসিটিগুলিতে। গত দেড়শো বছরে দিল্লির তাপমাত্ৰা গড়ে ১ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস বেড়েছে। কলকাতার তাপমাত্ৰা আরও বেশি ১.২ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। তৃতীয় ও চতুৰ্থ স্থানে রয়েছে যথাক্ৰমে চেন্নাই এবং মুম্বই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণে আনতে হলে বদল আনতে হবে মানুষের জীবনে। এই বাৰ্তা দিয়েছেন রাষ্ট্ৰপুঞ্জের বিজ্ঞানীরা। হাতে মাত্ৰ রয়েছে মাত্ৰ ১২ বছর। আইপিসিসি-র রিপোৰ্টে জানানো হয়েছে, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্ৰা গড়ে ১ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস বেড়েছে। সমুদ্ৰতল বিপদসীমা ছাড়ানোর জন্য যা যথেষ্ট। দ্বীপরাষ্ট্ৰ এবং ব-দ্বীপ এলাকাগুলোর অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। ক্ৰান্তীয় অঞ্চলগুলোও বিপৰ্যয়ের মুখে। এভাবেই চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ৩ থেকে ৪ ডিগ্ৰি তামপাত্ৰা বেড়ে যাবে। ফলে কোথাও বন্যা দেখা দেবে তো কোথাও খরা। একের পর এক প্ৰাকৃতিক দুৰ্যোগ দেখা দেবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্ৰান্তে। বৰ্তমানে প্ৰতিদিন যে পরিমাণে গ্ৰীনহাউস গ্যাস তৈরি হচ্ছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যেই ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্ৰা বেড়ে ১.৫ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস হবে। দক্ষিণ আফ্ৰিকার ডারবানের ‘এনভায়রনমেন্টার প্ল্যানিং অ্যান্ড ক্লাইমেট প্ৰটেকশন ডিপাৰ্টমেন্ট’-এর প্ৰধান ডেব্ৰা রবাৰ্টস বলেন, ‘সামনের কয়েকটি বছর খুব গুরুত্বপূৰ্ণ’। আইপিসিসি-র কো চেয়ার এবং লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের ‘সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল পলিসি-র আধ্যাপক জিম স্কেয়ার বলেন- ‘ আমরা আমাদের কাজ করে দিয়েছি। বাৰ্তা পৌঁছে দিয়েছি। এবার সরকারের দায়িত্ব।’ ২০১৫ -য় প্যারিস চুক্তি সইয়ের আগে পৰ্যন্ত ধারনা ছিল, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্ৰার ২ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পৰ্যন্ত পৃথিবী নিরাপদ। কিন্তু আইপিসি-র রিপোৰ্টে দেখা যাচ্ছে, ১ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস বাড়তেই পৃথিবীর পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে গ্ৰিনপিস ইন্টারন্যাশনাল-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর জেনিফার মৰ্গান বলেন, ‘যা হয়তো আরও বহু বছর পরে হবে আশঙ্কা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, সেটা এখনই ঘটছে। এখন তাপমাত্ৰার গড় বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্ৰিতে ঠেকিয়ে রাখতে হলে ২০৫০ সালের মধ্যে গোটা পৃথিবীকে ‘কাৰ্বন নিরপেক্ষ’ হতে হবে। অক্সফোৰ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট রিসাৰ্চ প্ৰোগ্ৰাম-এর প্ৰধান এবং আইপিসিসির রিপোৰ্টের মূল লেখক মাইলস অ্যালেন জানান, ‘কাৰ্বন নিরপেক্ষ’ অৰ্থাৎ প্ৰকৃতি থেকে কাৰ্বন ডাই অক্সাইড গ্ৰহণ ও ত্যাগের মধ্যে একটা সমতা রাখতে হবে। এর জন্য খরচের বোঝাও বিপুল- ২০১৬ সাল থেকে ২০৩৫ সাল পৰ্যন্ত প্ৰতি বছর আনুমানিক ২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি ডলার শক্তি ক্ষেত্ৰে বিনিয়োগ করতে হবে। যা কিনা বিশ্বের জিডিপি-র ২.৫ শতাংশ। আইসিসি-র এই রিপোৰ্ট প্ৰকাশের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক উচ্চ পৰ্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। পাৰ্শ্ববৰ্তী রাজ্য অসমের আবহাওয়াও ক্ৰমশ দূষিত হচ্ছে। দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে মহানগর গুয়াহাটিতেও। ফলত বিশুদ্ধ বায়ু ধীরে ধীরে দূষিত হচ্ছে। তবে এখনও অবধি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, রাষ্ট্ৰপুঞ্জঃ বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে দীৰ্ঘ দিন ধরে সতৰ্ক করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। সোমবার রাষ্ট্ৰপুঞ্জের ‘ইন্টারগভৰ্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি) রিপোৰ্ট পেশ করে জানিয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে বিপৰ্যয়ের মুখে গোটা পৃথিবী। পরিস্থিতি দিন দিন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। ভারতের অবস্থা শোচনীয়। রিপোৰ্ট মতে ভবিষ্যতে মারণ তাপপ্ৰবাগের সম্মুখীন হতে হবে এই দেশকে। ম্যালেরিয়া ডেঙ্গুর মতো রোগও বাড়বে। গরম বাড়বে মেগাসিটিগুলিতে। গত দেড়শো বছরে দিল্লির তাপমাত্ৰা গড়ে ১ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস বেড়েছে। কলকাতার তাপমাত্ৰা আরও বেশি ১.২ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। তৃতীয় ও চতুৰ্থ স্থানে রয়েছে যথাক্ৰমে চেন্নাই এবং মুম্বই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণে আনতে হলে বদল আনতে হবে মানুষের জীবনে। এই বাৰ্তা দিয়েছেন রাষ্ট্ৰপুঞ্জের বিজ্ঞানীরা। হাতে মাত্ৰ রয়েছে মাত্ৰ ১২ বছর। আইপিসিসি-র রিপোৰ্টে জানানো হয়েছে, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্ৰা গড়ে ১ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস বেড়েছে। সমুদ্ৰতল বিপদসীমা ছাড়ানোর জন্য যা যথেষ্ট। দ্বীপরাষ্ট্ৰ এবং ব-দ্বীপ এলাকাগুলোর অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। ক্ৰান্তীয় অঞ্চলগুলোও বিপৰ্যয়ের মুখে। এভাবেই চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ৩ থেকে ৪ ডিগ্ৰি তামপাত্ৰা বেড়ে যাবে। ফলে কোথাও বন্যা দেখা দেবে তো কোথাও খরা। একের পর এক প্ৰাকৃতিক দুৰ্যোগ দেখা দেবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্ৰান্তে। বৰ্তমানে প্ৰতিদিন যে পরিমাণে গ্ৰীনহাউস গ্যাস তৈরি হচ্ছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যেই ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্ৰা বেড়ে ১.৫ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস হবে। দক্ষিণ আফ্ৰিকার ডারবানের ‘এনভায়রনমেন্টার প্ল্যানিং অ্যান্ড ক্লাইমেট প্ৰটেকশন ডিপাৰ্টমেন্ট’-এর প্ৰধান ডেব্ৰা রবাৰ্টস বলেন, ‘সামনের কয়েকটি বছর খুব গুরুত্বপূৰ্ণ’। আইপিসিসি-র কো চেয়ার এবং লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের ‘সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল পলিসি-র আধ্যাপক জিম স্কেয়ার বলেন- ‘ আমরা আমাদের কাজ করে দিয়েছি। বাৰ্তা পৌঁছে দিয়েছি। এবার সরকারের দায়িত্ব।’ ২০১৫ -য় প্যারিস চুক্তি সইয়ের আগে পৰ্যন্ত ধারনা ছিল, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্ৰার ২ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পৰ্যন্ত পৃথিবী নিরাপদ। কিন্তু আইপিসি-র রিপোৰ্টে দেখা যাচ্ছে, ১ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস বাড়তেই পৃথিবীর পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে গ্ৰিনপিস ইন্টারন্যাশনাল-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর জেনিফার মৰ্গান বলেন, ‘যা হয়তো আরও বহু বছর পরে হবে আশঙ্কা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা, সেটা এখনই ঘটছে। এখন তাপমাত্ৰার গড় বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্ৰিতে ঠেকিয়ে রাখতে হলে ২০৫০ সালের মধ্যে গোটা পৃথিবীকে ‘কাৰ্বন নিরপেক্ষ’ হতে হবে। অক্সফোৰ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট রিসাৰ্চ প্ৰোগ্ৰাম-এর প্ৰধান এবং আইপিসিসির রিপোৰ্টের মূল লেখক মাইলস অ্যালেন জানান, ‘কাৰ্বন নিরপেক্ষ’ অৰ্থাৎ প্ৰকৃতি থেকে কাৰ্বন ডাই অক্সাইড গ্ৰহণ ও ত্যাগের মধ্যে একটা সমতা রাখতে হবে। এর জন্য খরচের বোঝাও বিপুল- ২০১৬ সাল থেকে ২০৩৫ সাল পৰ্যন্ত প্ৰতি বছর আনুমানিক ২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি ডলার শক্তি ক্ষেত্ৰে বিনিয়োগ করতে হবে। যা কিনা বিশ্বের জিডিপি-র ২.৫ শতাংশ। আইসিসি-র এই রিপোৰ্ট প্ৰকাশের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক উচ্চ পৰ্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। পাৰ্শ্ববৰ্তী রাজ্য অসমের আবহাওয়াও ক্ৰমশ দূষিত হচ্ছে। দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে মহানগর গুয়াহাটিতেও। ফলত বিশুদ্ধ বায়ু ধীরে ধীরে দূষিত হচ্ছে। তবে এখনও অবধি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
কোন মন্তব্য নেই