সাত্বিকতা বজায় রাখার উপরই বেশী গুরুত্ব হাফলং জগন্নাথ মন্দিরের পূজোয়।
বিপ্লব দেব
হাফলংঃ সাত্বিকতাই বজায় রেখেই হাফলং জগন্নাথ মন্দির দূর্গাপূজা কমিটির পূজো হয়ে আসছে গত একশো বছরের বেশী সময় ধরে। হাফলং শহরের প্রাচীন জগন্নাথ মন্দির ইতিমধ্যে শতবর্ষ উদযাপন করে ফেলেছে। কিন্তু জগন্নাথ মন্দিরের পূজোতে কোন চাকচিক্যতা নেই। থিম ও প্রতিযোগিতার দৌঁড় থেকে বেড়িয়ে এসে সম্পূর্ণ সাত্বিকতা বজায় রেখে পূজো হয়ে আসছে হাফলং জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গনে। হাফলং জগন্নাথ মন্দির পূজো কমিটির সাধারন সম্পাদক পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন শৈল শহর হাফলঙের প্রাচীনতম পূজোর মধ্যে অন্যতম পূজো হাফলং জগন্নাথ মন্দিরের পূজো সুদীর্ঘ কাল ধরে ধর্মীয় আচার ও নিয়ম মেনে সম্পূর্ণ সাত্বিকতা বজায় রেখেই পূজো প্রচলিত হয়ে আসছে। যেখানে কোনও ধরনের আধুনিকতার ছোঁয়া নেই। শাস্ত্রীয় প্রতিমা গড়ে হয় পূজো। পৃথ্বীশবাবু জানান পূজোর তিনদিন প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে হাফলং জগন্নাথ মন্দিরের পূজোয়। পূজোর সপ্তমী অষ্টমী ও নবমী তিনদিনই ভক্তদের জন্য ব্যবস্থা করা হয় মহাপ্রসাদের। পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য জানান জগন্নাথ মন্দিরের পূজো হলে শৈল শহরের সাধারন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করেই পূজোর আয়োজন করা হয় প্রতি বছর। আর এতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সবাই। অন্যদিকে হাফলং টাউন কালী মন্দির, রামকৃষ্ণ সেবাসমিতি ও হাফলং রেল কলোনীর পূজো ও শৈল শহর হাফলঙের অন্যতম প্রাচীন পূজো। এক সময় হাফলং রেলশহর হিসেবে পরিচিত ছিল এবং চাকুরী সুত্রে আসা রেল কর্মীরাই এই পূজো প্রথম শুরু করে। যা আজ ও হয়ে আসছে। প্রায় ৭০ বছরের বেশী সময় থেকে হাফলং রেল কলোনীর পূজো হয়ে আসছে। এখন রেলের কর্মীরা না থাকলে এদের ছেলে মেয়েরাই এই পূজো ধরে রেখেছে এবং প্রতি বছরই আরম্বরের মধ্য দিয়ে এই পূজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তাছাড়া মহকুমা সদর মাইবাঙের সবচেয়ে প্রাচীনতম পূজো হচ্ছে মাইবাং দূর্গাবাড়ির পূজো এই পূজো এবার ১০৩ বছরে পা দিয়েছে। প্রথমে মাইবাং দূর্গাবাড়ির পূজো অনুষ্ঠিত হত মাইবাং বাজারে। স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী মিলে এই পূজো শুরু করেছিল মাইবাং বাজারে একটি অস্থায়ী মন্ডপে তবে বাজারের পাশেই দূর্গাবাড়ি নির্মান হওয়ার পর থেকে পূজো দূর্গা বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যা আজ ও চলে আসছে।
কোন মন্তব্য নেই