।। আনন্দ মন্দির নিউ জার্সির দুর্গাপুজো ।।
নিউ জার্সির সমরসেট থেকে আশীষ কুমার দে
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের হিন্দু বাঙালি অধ্যুষিত শহরে দুর্গাপুজো হয়ে থাকে, কিন্তু নির্ঘণ্ট মেনে পুজো খুব কম হয়। সাধারণত শুক্রবার বিকেলে শুরু হয়ে রবিবার রাতে শেষ হয়ে যায়। নিউ জার্সি রাজ্যে তিনটি পুজো ক্ৰমে আনন্দ মন্দির, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ এবং আদ্যাপীঠ মন্দিরে পুজো পঞ্জিকার মতে হয়। মহাসপ্তমীতে আনন্দ মন্দির গিয়েছিলাম অঞ্জলি দিতে পুজো দেখতে। নিউ জার্সিকে বলা হয়, মিনি বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, অসম, ত্রিপুরা, দিল্লি ও ইদানিং এর বেঙ্গালুরুর পর অ্যাতো সংখ্যক বাংলা ভাষাভাষীর বসবাস রয়েছে এই রাজ্যে। আমেরিকার পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এই রাজ্যের একদিকে আটলান্টিক মহাসাগর, নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া ও ডেলাওয়ার রাজ্য। এখানে সর্বাধিক কথিত ভাষা ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, ভারতীয় ভাষা। এর মধ্যে প্রথম তেলেগু ও দ্বিতীয় বাংলা। মহাসপ্তমীর দিন সকাল সকাল পৌঁছে গেলাম আনন্দ মন্দিরে অঞ্জলি ও পুজো দিতে। সিডার গ্রোভ, সমরসেটে, সাড়ে সাত একর বিস্তৃত এলাকা নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে বাংলা স্থাপত্যের বিশাল আধুনিক মন্দির, এখানে রোজ পুজো হয়। ১৯৯৯ সালে এই আনন্দ মন্দির ট্রাস্ট গঠন হয়, মন্দির সংলগ্ন রয়েছে টেগোর হল। একটি সুন্দর প্রেক্ষাগৃহ। এখানেই ভোগ রান্না করা হয় ও পরিবেশন করা হয়, আছে অত্যাধুনিক রান্নাঘর। ২০১৬ সালে টেরাকোটার কাজ করা মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। তিনটি রাজ্য নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া ও নিউ জার্সি থেকে পুজোর কদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এখানে। মহাসপ্তমীতে অঞ্জলি, সন্ধি পুজো, সন্ধ্যা আরতি ছিল, ছিল দুবেলা খিচুড়ি, ফ্রাইড রাইস, নিরামিষ তরকারি, চাটনী, মিষ্টি। সপ্তাহের মধ্যে পুজো হওয়ার ফলে সকালে লোক কিছু কম হলেও সন্ধ্যায় প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। টেগোর হলের লাউঞ্জে বসেছে মহিলা উদ্যোমীদের পাঁচটি স্টল। বিক্রি হচ্ছে বাংলার তাঁতের ও সিল্কের শাড়ি সহ পোষাক, অলঙ্কার। শান্তিনিকেতন থেকে এসেছেন বর্ষীয়ান চিত্ৰশিল্পী টুলু ভঞ্জ তাঁর আঁকা ছবি নিয়ে। প্রদর্শনী থেকে বিক্রি হচ্ছে তাঁর ছবি, তিনি বিখ্যাত শিল্পী নন্দলাল বসুর পরিবারের সদস্য। বিক্রি হচ্ছে বাঙালির প্রিয় ভেজিটেবল চপ ও চমচম। ভোগপ্রসাদ রাঁধছেন স্বেচ্ছাসেবীরা, এদের মধ্যে আছেন, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক অধ্যাপক, আইটি বিশেষজ্ঞ ও গৃহবধূ এদের স্বেচ্ছাশ্রম প্রশংসনীয়। সকালে হঠাৎ দেখা হয়ে গেল অসমের প্রাক্তন পুলিস প্রধান ও কবি আমার অতি প্রিয় শ্রী হরে কৃষ্ণ ডেকার কন্যার সাথে ৪০ মাইল দূর থেকে এসেছেন অঞ্জলি দিতে।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের হিন্দু বাঙালি অধ্যুষিত শহরে দুর্গাপুজো হয়ে থাকে, কিন্তু নির্ঘণ্ট মেনে পুজো খুব কম হয়। সাধারণত শুক্রবার বিকেলে শুরু হয়ে রবিবার রাতে শেষ হয়ে যায়। নিউ জার্সি রাজ্যে তিনটি পুজো ক্ৰমে আনন্দ মন্দির, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ এবং আদ্যাপীঠ মন্দিরে পুজো পঞ্জিকার মতে হয়। মহাসপ্তমীতে আনন্দ মন্দির গিয়েছিলাম অঞ্জলি দিতে পুজো দেখতে। নিউ জার্সিকে বলা হয়, মিনি বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, অসম, ত্রিপুরা, দিল্লি ও ইদানিং এর বেঙ্গালুরুর পর অ্যাতো সংখ্যক বাংলা ভাষাভাষীর বসবাস রয়েছে এই রাজ্যে। আমেরিকার পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এই রাজ্যের একদিকে আটলান্টিক মহাসাগর, নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া ও ডেলাওয়ার রাজ্য। এখানে সর্বাধিক কথিত ভাষা ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, ভারতীয় ভাষা। এর মধ্যে প্রথম তেলেগু ও দ্বিতীয় বাংলা। মহাসপ্তমীর দিন সকাল সকাল পৌঁছে গেলাম আনন্দ মন্দিরে অঞ্জলি ও পুজো দিতে। সিডার গ্রোভ, সমরসেটে, সাড়ে সাত একর বিস্তৃত এলাকা নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে বাংলা স্থাপত্যের বিশাল আধুনিক মন্দির, এখানে রোজ পুজো হয়। ১৯৯৯ সালে এই আনন্দ মন্দির ট্রাস্ট গঠন হয়, মন্দির সংলগ্ন রয়েছে টেগোর হল। একটি সুন্দর প্রেক্ষাগৃহ। এখানেই ভোগ রান্না করা হয় ও পরিবেশন করা হয়, আছে অত্যাধুনিক রান্নাঘর। ২০১৬ সালে টেরাকোটার কাজ করা মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। তিনটি রাজ্য নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া ও নিউ জার্সি থেকে পুজোর কদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এখানে। মহাসপ্তমীতে অঞ্জলি, সন্ধি পুজো, সন্ধ্যা আরতি ছিল, ছিল দুবেলা খিচুড়ি, ফ্রাইড রাইস, নিরামিষ তরকারি, চাটনী, মিষ্টি। সপ্তাহের মধ্যে পুজো হওয়ার ফলে সকালে লোক কিছু কম হলেও সন্ধ্যায় প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। টেগোর হলের লাউঞ্জে বসেছে মহিলা উদ্যোমীদের পাঁচটি স্টল। বিক্রি হচ্ছে বাংলার তাঁতের ও সিল্কের শাড়ি সহ পোষাক, অলঙ্কার। শান্তিনিকেতন থেকে এসেছেন বর্ষীয়ান চিত্ৰশিল্পী টুলু ভঞ্জ তাঁর আঁকা ছবি নিয়ে। প্রদর্শনী থেকে বিক্রি হচ্ছে তাঁর ছবি, তিনি বিখ্যাত শিল্পী নন্দলাল বসুর পরিবারের সদস্য। বিক্রি হচ্ছে বাঙালির প্রিয় ভেজিটেবল চপ ও চমচম। ভোগপ্রসাদ রাঁধছেন স্বেচ্ছাসেবীরা, এদের মধ্যে আছেন, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক অধ্যাপক, আইটি বিশেষজ্ঞ ও গৃহবধূ এদের স্বেচ্ছাশ্রম প্রশংসনীয়। সকালে হঠাৎ দেখা হয়ে গেল অসমের প্রাক্তন পুলিস প্রধান ও কবি আমার অতি প্রিয় শ্রী হরে কৃষ্ণ ডেকার কন্যার সাথে ৪০ মাইল দূর থেকে এসেছেন অঞ্জলি দিতে।
কোন মন্তব্য নেই