হাফলংয়ে সুরত নগর হিড়িমডি মন্দিরের দূর্গাপূজো
বিপ্লব দেবঃ হাফলং
সুরত নগর হিড়িমডি মন্দিরের পূজো হচ্ছে শৈল শহর হাফলঙের মধ্যে অন্যতম পূজো। দীর্ঘদিন থেকে এই পূজো পরিচালিত হয়ে আসছে ডিমাসা জনগোষ্ঠীর মানুষের দ্বারা। আধুনিকার যোগে যেখানে দূর্গাপূজোতে থিমের ছড়াছড়ি প্রতিযোগিতার মানষিকতা আরম্বর ও চাকচিক্যতা প্রধান্য পায়। সেখানে ব্যতিক্রম সুরত নগর হিড়িমডি মন্দিরের দূর্গাপূজো। কারন সম্পূর্ণ ধর্মীয় নিয়ম নীতি মেনেই কোনও আরম্বর ছাড়াই পূজো করেন পূজো উদ্যোগতারা। শাস্ত্রীয় প্রতিমা গড়ে পূজোয় সম্পূর্ণ সাত্বিকতা বজায় রেখেই সম্পূর্ণ করা হয় পূজো। পূজোর তিনদিনই প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে হিরিমডি মন্দিরে পূজোর তিনদিনই ব্যবস্থা করা হয় মহাপ্রসাদের। দীর্ঘদিন থেকে সুরত নগর হিড়িমডি মন্দিরের পূজো হয়ে আসছে সুরত নগর এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে। এবং সকলের একান্ত সহযোগিতায় এই পূজো অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান পূজো উদ্যোগতারা। দশমীতে শহরের সব পূজো কমিটির প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় হাফলং শহরের লেকে কিন্তু ব্যতিক্রমী ভাবে হিড়িমডি মন্দির পূজো কমিটির সদস্যরা বিসর্জন পর্ব সারেন আলাদা ভাবে হাফলং শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরবর্তী দিয়ুং নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করেন। উদ্যোগতাদের বক্তব্য স্রোতের জলে বিসর্জন দেওয়ার নিয়ম তাই এই প্রথা মেনেই ওই পূজো কমিটির সদস্যরা দিয়ুং নদীর জলেই বিসর্জন পর্ব শেষ করেন তা আবার দিনের বেলা শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে বিসর্জন পর্ব শেষ করে ফেলেন সুরত নগর হিড়িমডি মন্দির পূজো কমিটির সদস্যারা। এদিকে আর মাত্র একদিন তারপরই দেবী দূর্গার বোধন পর্ব কিন্তু গত তিনদিনের বৃষ্টির দরুন পূজোর প্রস্তুতি নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েছে বিভিন্ন পূজো কমিটি। তিতলির জেরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়ে উত্তর পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে রবিবার কিছুটা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে তবে সোমবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে আবহাওয়া দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই